শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৩:১২ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

নাগরপুরে ভুট্টা চাষে বিঘা প্রতি লাভ দশ হাজার ” লাভবান প্রান্তিক কৃষক “

মো. আমজাদ হোসেন রতন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার:
আপডেট সময়: শুক্রবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৪:৫৮ অপরাহ্ণ

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে অধিক লাভের আশায়, উৎসাহী কৃষকরা হচ্ছেন লাভবান। উপজেলার চরাঞ্চলে বসত বাড়ির পাশে, পতিত ও তিন ফসলি জমিতে চলতি মৌসুমে ভুট্টা চাষে ব্যাপক সফলতা এনেছে। গত বছর বাজার দাম ভালো পাওয়ায় চাষীরাও খুশি রয়েছেন।
স্থানীয় চাষিরা জানান, উপজেলার যমুনা ও ধলেশ্বরী নদীর চড়ে অনেক জমি, বছরের পর বছর পতিত থাকে। এসব পতিত জমিতে তেমন কোন ফসল চাষ করা যায়না। তবে ওই সব জমিতে ভুট্টা চাষের উজ্জ্বল সম্ভবনা থাকায় চলতি মৌসুমে তারা(চাষি) চাষাবাদে আগ্রহী হয়ে পড়েন। সেই সাথে বাড়ির পাশে ফসল কম হওয়া বা পতিত জমিতে ভুট্টা চাষ করছেন অনেকেই।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সুত্রে জানা যায়, নাগরপুর উপজেলার সব কয়টি ইউনিয়নেই চলতি মৌসুমে ভুট্টা চাষ করা হয়েছে।
 ডিসেম্বর মাসে বীজ বপনের পর এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে। শেষের দিকে ভুট্টা ঘরে তোলা পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূল থাকবে বলে আশাবাদী। চরাঞ্চরের বালি পরে থাকা জমিতে বীজ বপনের পর থেকেই গাছ তরতর করে বেড়ে উঠতে থাকে। জাত বেধে  প্রতিটি গাছে ১-৩ টি করে ভুট্টার কলা ধরেছে। চাষীরা গড়ে প্রতি মণ (৪০ কেজি) ভুট্টা ৭০০-৭৫০ টাকায় বিক্রি করেন। চরের কিছু কিছু চাষি এককভাবে ৫ বিঘা পর্যন্ত জমিতে ভুটা চাষ করেছেন।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা  ছরোয়ার হোসাইন জানান, গত বৎসর প্রতি হেক্টর (সাড়ে সাত বিঘা) জমিতে গড়ে ৭-৯ মেট্রিক টন ভুট্টার ফলন হয়েছে। ভুট্টা চাষ অল্প খরচে অধিক লাভজনক হওয়ায়, এ চাষে পুরুষ শ্রমিকদের পাশাপাশি নারীরাও দক্ষ হয়ে উঠায় এ কাজে তাদের কদর বাড়ছে।
উপজেলার নয়া পাড়া গ্রামের মো. খোকন খান ও বাদে বেহালীর মো. পলাশ মিয়া জানান, কৃষিকাজে নিজেদের নিয়োজিত রেখেছি এ বছর জমিতে ভুট্টা চাষ করেছি। প্রতি বিঘায় ভুট্টা চাষ ও কাটা মাড়াইয়ে মোট খরচ হবে পাঁচ থেকে সাত হাজার টাকা। প্রতি বিঘা জমি থেকে(ফলন ভাল হলে) ভুট্টা পাওয়া যাবে ৩৫-৪০ মণ পর্যন্ত। বাজার গুলোতে প্রতি মণ ভুট্টা ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা দরে বিক্রয় হয়ে থাকে। গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার ভুট্টার বাম্পার ফলন হবে। সেই সাথে বাজারে দাম ও চাহিদা বেশি থাকায় এবার চাষিরা লাভবান হবেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আবদুল মতিন বিশ্বাস জানান, ভুট্টা চাষে আমাদের পরামর্শ ও যাবতীয় কারিগরি সহযোগিতা এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চরের চাষীদের মুখে হাসি দেখা দিবে। এবছর প্রায় ১৫০০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ করা হয়েছে এবং ১৫০০ কৃষককে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো জানান, প্রণোদনার আওতায় প্রতি কৃষককে ২ কেজি ভুট্টা বীজ, ২০ কেজি ডিএপি, ও ১০ কেজি এমওপি সার দেওয়া হয়েছে। এবছর উপজেলায় ১২০০০ মেট্রিক টন ভুট্টা উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

 

#চলনবিলের আলো / আপন


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর