সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৯:০০ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

ভাঙ্গুড়ায় গৃহবধূ মিনা হত্যাকারিদের সুষ্ঠু বিচার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: শনিবার, ২৭ জুন, ২০২০, ৬:২০ অপরাহ্ণ

চলনবিলের আলো বার্তাকক্ষ:

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় মিনা খাতুন (৩৫) নামের এক গৃহবধুর হত্যাকারিদের সুষ্ঠু বিচার ও প্রকৃত অপরাধিদের ফাঁসির দাবীতের মানব বন্ধন পালিত হয়েছে। শনিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার ভাঙ্গুড়া বাজারের বকুল তলা চত্বরে মন্ডতোষ ইউনিয়নের গ্রামবাসির ব্যনারে এই মানববন্ধন পালন করেন। মানববন্ধনে নারী পুরুষ মিলে শতাধিক মানুষ অংশ গ্রহণ করেন। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন মন্ডতোষ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক নুর ইসলাম মিন্টু ও নিহত মিনা খাতুনের খালাতো ভাই আব্দুল কারীম।

বক্তারা বলেন, নিরীহ ও নিরপরাধ গৃহবধূ মিনা খাতুন আত্মহত্যা করে নি। তাকে হত্যা করা হয়েছে। ওই গৃহবধূকে হত্যা করে গলায় রশি পেঁচিয়ে ঝুলিয়ে তাকে রাখা হয়েছিল। তাই সঠিক ও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করে অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনার জোর দাবি জনানো হয়।

প্রসঙ্গত, গত সোমবার (২২ জুলাই) ওই গৃহবধুর লাশ সকাল ৭.৩০টার দিকে তার নিজ বাড়ির রান্না ঘরের ডাবের সাথে গলায় দোড়ি পেচানো অবস্থায় তার পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে । সে মন্ডতোষ গ্রামের আব্দুল খালেক এর প্রথম স্ত্রী।

সূত্রে জানা গেছে , প্রায় ১৫ বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে চাচাতো বোন মিনা খাতুনকে বিয়ে করে তার চাচাতোভাই আব্দুর খালেক। বিয়ের পর থেকেই চাচা মন্তাজ আলীর অর্থাৎ মিনার পিতাকে তার সমস্ত সম্পত্তি নিজের নামে লিখে চায় আব্দুল খালেক। মিনার পিতা কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন তারপরও মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে তার ১২ বিঘা জমি একমাত্র মেয়ে মিনার নামে দানপত্র রেজিস্ট্রি করে দেন। এতে আব্দুল খালেক আরও রাগাšি^ত হয় এবং মিনাকে আবার ওই জমি তার নামে লিখে দিতে বলে। এতে মিনা রাজি না হওয়ায় প্রায়ই স্বামী আব্দুল খালেক নির্যাতন করতো।

 

কিন্তু তার নামে জমি লিখে না দিলে পরে আব্দুল খালেক দ্বিতীয় বিয়ে করে তাকে নিয়ে ঢাকায় চলে যান এবং সেখানে একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন। তিনি মাঝে মধ্যে গ্রামে আসেন। তবে মিনার সাথে তার সুসম্পর্ক ছিল না। মিনার দেবর শানিল হোসেনও বড় ভাবী মিনাকে অত্যাচার করতো। সম্প্রতি সে মিনা কে মারধোর করে তার একটা হাত ভেঙ্গে দিয়েছিল। এ ছাড়া শানিল হোসেন(২৮) ও তার পরিবারের সদস্যরা আব্দুল খালেকের পক্ষ নিয়ে মিনার সাথে প্রায়ই দুর্ব্যবহার করতো।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর