ঝালকাঠির নবগ্রামে বসত বাড়ির চলাচলের পথে পাকা স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, সোহরাব হোসেন গং ঝালকাঠি সদর উপজেলার মকররমপুর মৌজায় নবগ্রাম বাস ষ্ট্যান্ড সংলগ্ন বরিশাল স্বরুপকাঠি সড়কের পাশে বসত বাড়ির প্রায় শত বছরের পূরানো রাস্তা দখল করে প্রতিপক্ষ শরীকরা পাকা দালান নির্মাণের কাছ চলাচ্ছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মো: জাহিদি হোসেন জানান, “ আদালতের নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করে সোহরাব হোসেন গং জোর পূর্বক বসত বাড়ির চলাচলের রাস্তার উপর দালান ঘর নির্মাণ করছে। আরো জানান, তিনি ও তার বড় ভাই নিরীহ লোক এবং চাকুরির সুবাদে ঢাকায় থাকেন। এলাকায় তাদের সাথে কারো কোন দ্ব›দ্ব নাই। বড় ভাইর শিশু ছেলে ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার জন্যে ভারত দৌড়াদৌড়ির ফাঁকে প্রতিপক্ষ শত ভছরের চলাচালেরর রাস্তায় দালান নির্মাণ করছে। তার বাপ চাচারা তিন জন বাড়ির শরীক। স্থানীয় সালিশ বৈঠকে রোয়েদাদ করে বরিশাল স্বরুপকাঠি সড়কের পাশের বসত বাড়ির জমিতে স্থানীয় সালিশ মীমাংসায় ভাগ বাটোয়ারার মাধ্যমে তিনটি প্লট এবং বাড়ি থেকে বেড় হওয়ার জন্য আলাদা রাস্তা রাখা হয় যা লিখিত মানচিত্র দ্বারা শনাক্ত করা আছে। কিন্তু প্রতিপক্ষ সোহরাব হোসেন গং রাস্তার পাশে জমির মূল্য বৃদ্ধি পাওয়া লোভের বশবর্তী হয়ে জোরপূর্বক বেআইনীভাবে শত বছরের পূরানো চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে পাকা ইমারত নির্মাণ করছেন। তাদের মৌখিকভাবে বাধা দিলে কোন কর্ণপাত না করে কাজ চালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে এ.বি.এম শাহাদাৎ হোসেন ঝালকাঠি সিনিয়র সহকারী জজ আদালত চলমান কাজ বন্ধের জন্যে আবেদন করলে আদালত কাজের উপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। কিন্তু সোহরাব হোসেন গং আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সোহরাব হোসেন গং ইমারত নির্মাণের কাজ চলমান রাখেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সোহরাব হোসেন সাংবাদিকদের জানান, আপনারা সরেজমিনে এসে দেখে নিউজ করার জন্যে অনুরোধ করছি। আমি কোর্টে এপিয়ার হয়েছি এবং কাগজ পত্র জমা দিয়েছি। বাকী বক্তব্য সাক্ষাতে বলবো।
#চলনবিলের আলো / আপন