ঝালকাঠিতে ফৌজদারী মামলার আসামীরা জামীন পেয়ে মামলার বাদীকে মামলা তুলে নেয়ার জন্যে প্রাণেরনাশের হুমকি ধমকি প্রদান করেছে। বাদী আনিছ মাঝি ঝালকাঠি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ছিল। আনিছ মাঝি সোমবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে কোর্টরোডে ফটোকপি করতে আসলে আসামী ১। নয়ন হাওলাদার ২। মনির হাওলাদার উভয়: পিতা: লতিফ হাওলাদার ৩। ফজলে রাব্বি হাওলাদার পিতা: মৃত- হারুন হাওলাদার, ৪। ইমন হাওলাদার পিতা: নয়ন হাওলাদার, ৫। রাকিব বাসাই পিতা: রহমান বাসাই, ৬। রিয়াদ হাওলাদার, পিতা: জাকির হাওলাদর, ৭। সিরাজ হাওলাদার পিতা: সোহরাব হাওলাদর, সর্ব সাং: আলোকদিয়া, উপজেলা ও জেলা: ঝালকাঠি আনিছ মাঝিকে ফটোকপি করতে দেখে গালিগালাজ করে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে বলে মামলা দিয়ে কি করবি, মামলা তুলে না নিলে তোকে ও তোর পরিবারের আত্মীয় স্বজনদের উচিত শিক্ষা দিয়ে দেবো যাতে আর কোনদিন মামলা না দিতে পারো। আসামীরা আনিছ মাঝিকে উদ্দেশ্য করে আরো বলে, মামলা তুলে না নিলে তোদের নামে এবং যারা তোদের সাথে সহযোগতিা করবে তাদের নামে চৌদ্দটি মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করবো। তোদের জেলের ভাত খেয়ে জীবন শেষ করতে হবে। রাস্তাঘাটে বের হলে বাদী আনিছ মাঝির পরিবারকে হামলা করা হবে বলে আসামীরা হুমকি ধমকি প্রদান করে। একই দিন সন্ধ্যায় নিজ এলাকায় গিয়ে আসামীরা অনুরুপ হুমকি ধমকি দেয়। বিভিন্ন লোকের উল্লেখ্য আনিছ মাঝী ০১ জানুয়ারী’২২ শনিবার ঝালকাঠি সদর থানায় ৭ জন আসামীর নাম উল্লেখ করে একটি এজাহার দায়ের করেন। যার মামলা নং -০১ তারিখ: ০১/০১/২০২২। উক্ত মামলায় উল্লেখ করা হয় আসামীরা যোগসাজসে পূর্ব শত্রুতার জেরে দেশীয় অস্ত্র যেমন জিআই পাইপ, ক্রিকেট স্ট্যাম্প, লোহার রড, রামদা ও লাঠি সোটা নিয়ে আমার বড় ভাই ইউনুস মাঝির বসত ঘরের সামনে গিয়ে আমার ছোট ছেলে মেহেদি হাসানকে মারার জন্যে খোজাখুজি করে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এক পর্যায়ে আমার বড় ভাইয়ের ঘরের মধ্যে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করিয়া ভাংচুর চালিয়ে প্রায় ৫০ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করে। আসামীরা ঘরের ভিতরে ও বাহিরে থাকা মহিলা পুরুষদের যাকে যে অবস্থায় পায় বেদমভাবে প্রহার করে। পরে আসামীরা যাওয়ার সময় হুমকি ধমকি দিয়ে বলে রাত পোহালে যাকে যেখানে পাবো সেখানে ধোলাই দেবো এবং প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। এ ঘটনায় আমার ছেলে মেহেদি হাসান, বড় ভাই ইউনুস মাঝি, ছোট ভাই ইসমাইল মাঝি, শাহাজাহান মাঝি, বড় বোন রিনা বেগম ফুলা জখম প্রাপ্ত হয়ে আহত হয়১নং আসামী নয়ন হাওলাদারের নির্দেশে ও পরিকল্পনায় ৩নং আসামী অন্যান্য আসামীদের সহযোগীতায় ইউনুস মাঝিকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাফলার দিয়ে গলা পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা চালায়। ৩নং আসামীর সহযোগীতায় ৪নং আসামী ইউনুস মাঝিকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ করিয়া আঘাত করলে ইউনুস মাঝি ডান হাত দিয়ে তা ফেরানোর চেষ্টা করলে লাঠির আঘাতে তার ডান হাতের আঙ্গুল ভেঙ্গে যায় এবং মাথায় রক্তাক্ত জখম হয়, পরবর্তীতে সকল আসামী মিলিয়া ইউনুস মাঝিকে উপর্যোপরী ও এলাপাথারী হামলা চালিয়ে হাড় ভাঙ্গা ও গুরুতর কাটা জখম করে। ইউনুস মাঝিকে রক্ষার জন্যে ছোট ভাই শাহজাহান মাঝি এগিয়ে গেলে তাকে ৪নং ও ৫নং আসামী হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করলে বাঁচার জন্যে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে আসামীরা বেধড়কভাবে পায়ের উপর লাঠি দিয়ে আঘাত করলে সেও গুরুতর কাটা জখম হয়। তখন আমি তাদের (আমার বড় ভাই ও ছোটদের) রক্ষা করতে গেলে আমাকে ৬নং ও ৭নং আসামী আমার পিঠে ও পায়ের নলায় ও শরীরে বিভিন্ন স্থানে লোহার রড, লাঠি দিয়ে আঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত কাটা ও হাড়ভাঙ্গা জখম করে। আমি আমার জীবন রক্ষার জন্যে নিরঞ্জন বাবুর ঘরে আশ্রয় গ্রহন করি। আমার বড় ভাই ইউনুস ও ছোট ভাই মরাত্মক আঘাত প্রাপ্ত হয়ে অজ্ঞান হয়ে ঘটনা স্থলে পড়ে থাকলে স্থানীয় লোকজন আগাইয়া আসিলে আসামীরা ঘটনা স্থল ত্যাগ করে চলে যায়। এরপর ডা: মাদব মিত্র ও খান মেডিকেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহনের জন্যে আমরা ভর্তি হই। উল্লেখ্য আমি শীতকালিন কাপড় চোপড় ও বাসার মাসিক বাজার করার জন্যে আমার পকেটে থাকা ৫, হাজার ৫শত টাকা ৩নং আসামী নিয়ে যায়। ৪নং ও ৭নং আসামী আমার বড় ভাই ইউনুস মাঝি সাথে থাকা ৫ হাজার টাকা ছিনাইয়া নিয়ে যায় এবং ৫ও ৬ নং আসামী আমার ছোট ভাইশাহজাহান মাঝির সাথে থাকা ৫২ হাজার ছিনাইয়া নেয়।
#চলনবিলের আলো / আপন