চলনবিলের আলো বার্তাকক্ষ:
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষকের আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পিত হত্যা এ নিয়ে সংশয় ভাঙ্গুড়াবাসীর মনে। মৃত ওই শিক্ষকের নাম মোস্তফা কামাল (৪৫)। তিনি ভাঙ্গুড়া পৌর সদরের মমতাজ মোস্তফা আইডিয়াল স্কুলের ক্রীড়া শিক্ষক ছিলেন। সে টলটলিয়াপাড়ার মৃত আব্দুল কাদেরের পুত্র ও দুই কন্যা সন্তানের জনক। বৃহস্পতিবার(২৫ জুলাই) সকালে পারভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের টলটলিয়া পাড়া গ্রামের নিজ বাড়ির শয়ন কক্ষের বেলকুনি থেকে পুলিশ তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেন।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নিহত শিক্ষক মোস্তফা কমাল ২০১২ সাল থেকে মমতাজ মোস্তফা আইডিয়াল স্কুলে ক্রীড়া শিক্ষক হিসেবে যোগদান করে নন এমপিও শিক্ষক হিসেবে চাকুরী করে আসছিলেন। কিন্তু ২০১৯ সালের শেষের দিকে সরকার সারা দেশের ননএমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও ভুক্তির ঘোষানা দেয়। এর মধ্যে ভাঙ্গুড়া উপজেলায় যে কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও হয় তার মধ্যে মমতাজ মোস্তাফা আইডিয়াল স্কুলটিও এমপিও ভুক্তির তালিকায় নাম আসে।
সম্প্রতি ওই স্কুলের কয়েকজন শিক্ষক কর্মচারীর এমপিও ভুক্তি হলেও ক্রীড়া শিক্ষক মোস্তফা কামাল এর কাগজ পত্রের জটিলতায় এমপিও ভুক্তি থেকে বাদ পড়েন।তবে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় শর্ত পুরণ সাপেক্ষ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরে এমপিওর আবেদন পাঠানোর কথা রয়েছে।এমন অবস্থায় এমপিও ভুক্তি হওয়া না হওয়া নিয়ে মনস্তাত্তিক দ্বদ্বে ভুগছিলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, বাসায় স্বামী স্ত্রী সন্তান ছাড়া কেউ নাই,বারান্দার গ্রিলের সাথে গামছা পেঁচানো,মোস্তফা সাহেব ফ্লোরে পা রেখে দাঁড়িয়ে আছে,গলায় গামছা পেঁচানো নিথর নিস্তব্ধ দেহ দাঁড়িয়ে আছে। আমরা একজন যোগ্য ক্রীড়া শিক্ষক কে হারালাম একজন সহযোদ্ধাকে হারালাম তার এই মর্মান্তিক মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের জন্য অধিকতর তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।
পরিবার সূত্রে জানাযায়, বৃহস্পতিবার ভোর রাতে তার পরিবারের লোকজন তাকে গলায় রশি নিয়ে মৃত অবস্থায় দেখে থানা পুলিশকে খবর দেয়। বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
ধারণা করা হচ্ছে তার চাকুরী এমপিও হওয়া না হওয়া নিয়ে মনস্তাত্তিক দ্বদ্বের কারণে তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।
এব্যপারে ভাঙ্গুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুদ রানা বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাবনা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রির্পোট আসলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তবে নিহত শিক্ষক এমপিও হওয়া না হওয়া নিয়ে মানষিক অশান্তিতে ভুগছিলেন।এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।