ঘুর্নিঝড় জাওয়াদকে ভর করে নিন্মচাপের কারণে বৃষ্টিপাতের প্রভাবে বরিশাল কৃষি অঞ্চলের রোপা আমন ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ফসলের ৭৮ হাজার হেক্টর জমি আক্রান্ত হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাঠপর্যায় থেকে প্রাথমিক প্রতিবেদনে বুধবার সকালে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, আক্রান্ত জমির মধ্যে রোপা আমন প্রায় ৪০ হাজার হেক্টর এবং খেশারী ডাল ২৬ হাজার হেক্টর। এছাড়াও শীতকালীন সবজি সাড়ে ৭ হাজার হেক্টর, সরিষা ২ হাজার ১৫৬ হেক্টর, মুসর ডাল ৫৭৩ হেক্টর, গোল আলু ৩৮৮ হেক্টর, বোরো বীজতলা ২৩৫ হেক্টর, গম ২০৩ হেক্টর এবং ১০৫ হেক্টরের মরিচ ছাড়াও অন্যান্য ফসল ক্ষেত রয়েছে। তবে এসব ফসলের ঠিক কতোভাগ আংশিক বা সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে তা বুঝতে আরো কয়েকদিন অপেক্ষাF করতে হবে। কারণ জাওয়াদকে ভর করে এ অঞ্চলে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পায়নি। বৃষ্টিপাতের পরিমানও ছিল ১শ’ মিলিমিটারের মতো। মঙ্গলবার সকালের পর থেকে বরিশাল অঞ্চলে তেমন কোন বৃষ্টি হয়নি। তবে যেসব ফসলী জমিতে এখনো পানি জমে আছে সেখানে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা বাড়বে বলে শংকা রয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, আমন ধানের আক্রান্ত জমির কিছু ফসল মাটিতে নুয়ে পরেছে। এসব জমির ধান চিটা হতে পারে। এছাড়া আমনের বড় ধরনের কোন ক্ষতির সম্ভবনা নেই। তবে জমিতে পানি আটকে থাকায় আমনের সাথী ফসল খেশারী ডালের কিছু সমস্যা হতে পারে। এছাড়া শীতকালীন সবজি ও গোল আলুসহ যেকোন রবি ফসলের জমিতে পানি আটকে গেলে তাও ক্ষতিগ্রস্থ হবার আশংকার রয়েছে।
আবহাওয়া পরিস্থিতির উন্নতি হলে ইতিবাচক পরিবর্তনের সম্ভবনার কথা জানিয়েছেন মাঠ পর্যায়ের কৃষিবিদগন। এবার খরিপ-২ মৌসুমে বরিশাল কৃষি অঞ্চলে যে ৮ লাখ ৫৬ হাজার হেক্টর জমিতে আমন আবাদ হয়েছে, সেখানে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ২০ লাখ টন চাল। এছাড়া কিছু বোরো বীজতলার ¶তি হলেও তা পূণর্বাসনের যথেষ্ঠ সময় রয়েছে। এছাড়া রবি মৌসুমে বরিশাল কৃষি অঞ্চলে প্রায় ৩ লাখ ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের মাধ্যমে প্রায় ১৫ লাখ টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
#চলনবিলের আলো / আপন