পাবনার চাটমোহরে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি, শৈত্যপ্রবাহ ও কুয়াশার কারণে সরিষা আবাদের মারাত্মক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। চলতি বছর সরিষার ফলন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন কৃষকরা। এ বছর উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছিল, প্রায় ৭ হাজার হেক্টর। তার মধ্যে ৬ হাজার ২শত ২০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছে। তবে সরিষা বোনার কিছুদিন পরেই পোকার আক্রমনে অনেক কৃষক জমি ভেঙে নতুন করে অন্য ফসল বুনেছেন।
সরিষা চাষিরা জানান, শনিবার থেকে হঠাৎ গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। সোমবার এখন পর্যন্ত কয়েক দফায় হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। এতে ফুল থাকা স্থানীয় জাতের সরিষার গাছ হেলে পড়েছে। ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে চাটমোহর সহ চলনবিলাঞ্চে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে। এখানে গত তিন – চার দিন ধরে গুড়ি গুড়ি ও হালকা বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এ কারনে শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশা পড়ছে। সূর্যেরও খুব একটা দেখা মিলছে না। ফলে খেতে সরিষার ফুল মধু আহরণকারী মৌমাছি বা পতঙ্গ না আসায় পরাগায়ন ব্যাহত হচ্ছে। পাশাপাশি অনেক স্থানে পাঁপড়িও পচে ঝরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সরেজমিনে উপজেলার হান্ডিয়াল, নিমাইচড়া, ছাইকোলা, বিলচলন, হরিপুরসহ কয়েকটি এলাকা ঘুরে ও খোজ নিয়ে দেখা গেছে ক্ষেতের মধ্যে সরিষা গাছ হেলে পড়েছে। অনেক স্থানে বৃষ্টির কারনে ফুলও ঝরে যাচ্ছে।
হান্ডিয়াল পাকপাড়া গ্রামের কৃষক রাহিম উদ্দিন জানান, সারে ৩ বিঘা জমিতে সরিষা আবাদ করেছি। শনিবার থেকে বৃষ্টি হচ্ছে, ফলে সরিষা ক্ষেতের অধিকাংশ সরিষা গাছই হেলে পড়েছে। এর আগে কিছু দিন পোকার আক্রমনে সরিষায় ক্ষতি হয়েছে। এখন এ আবহাওয়ার ফলে মৌমাছি কিংবা পতঙ্গ ফুলে না বসায় পরাগায়নও হয়নি। এ অবস্থা চলতে থাকলে সরিষা আবাদ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ.এ. মাসুম বিল্লাহ বলেন, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে। বৃষ্টি ও বৈরি আবহাওয়ার কারনে উফশী জাতের সরিষার ক্ষতি হবে না। তবে স্থানীয় জাতের সরিষার পরাগায়ন ব্যাহত হবে। ঠিকমত সূর্যের আলো না পেলে ফলন কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারেন।