নিজস্ব প্রতিবেদক:
চট্টগ্রামে ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ১৯৪ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২৪৪ জনে। নতুন করে মারা যাওয়া দু’জনসহ মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ১৪১ জন। জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানানো হয়। এদিকে, রবিবার চালু হয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) উদ্যোগে স্থাপিত ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল। চট্টগ্রামে বেশ কটি হাসপাতাল ও কেন্দ্রে করোনার চিকিৎসা চলমান থাকলেও এককভাবে এটিই সবচেয়ে বড়। রবিবার সকালে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, শনিবার রাত পর্যন্ত পূর্ববর্তী চব্বিশ ঘণ্টায় মোট ৬৭০ নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে ১৯৪।
আক্রান্তদের মধ্যে ১২৮ জন মহানগর এলাকার এবং ৬৬ জন বিভিন্ন উপজেলার। এদিন মোট ৫টি কেন্দ্রে নমুনা পরীক্ষা হয়। চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডাঃ সেখ ফজলে রাব্বি জানান, শনিবার ফৌজদারহাটে অবস্থিত বিআইটিআইডিতে ২৭৭ নমুনা পরীক্ষায় ৯৭, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে ২০৩ নমুনা পরীক্ষায় ৬২, সিভাসুতে ১২৯ নমুনা পরীক্ষায় ১৬, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৬০ নমুনা পরীক্ষায় ১৮ এবং কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ১ জনের করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। বেসরকারী ইম্পেরিয়াল হসপিটালে এদিন নমুনা পরীক্ষা হয়নি। আক্রান্তদের মধ্যে নগরীর বাইরে বোয়ালখালি উপজেলায় ১৮, চন্দনাইশ উপজেলায় ১১, রাউজান উপজেলায় ১০, হাটহাজারীতে ৯, মীরসরাইয়ে ৮, সীতাকুন্ডে ৭ এবং সাতকানিয়া, লোহাগাড়া ও বাঁশখালিতে ১ জন করে করোনা রোগী পাওয়া গেছে। এদিকে, রবিবার চালু হয়েছে আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের সিটি কনভেনশন সেন্টারে স্থাপিত ২৫০ শয্যার কোভিড আইসোলেশন সেন্টার ও হাসপাতাল। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে এই সেন্টার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
সি কম গ্রুপের মালিকানার এ কনভেনশন সেন্টারটি মানবিক বিবেচনা থেকে করোনা চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করতে কর্পোরেশনকে হস্তান্তর করেছে মালিক পক্ষ। আইসোলেশন সেন্টার বলা হলেও সেখানে করোনা রোগীরা প্রয়োজনীয় সকল চিকিৎসা পাবেন। সিটি কর্পোরেশন এ জন্য চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ করেছে। এর আগে হাসপাতালটি উদ্বোধন করেছিলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। রবিবার শুরু হয়েছে সেখানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের ভর্তি কার্যক্রম।