চলনবিলের আলো বার্তাকক্ষ:
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় মিনা খাতুন (৩৩) নামের এক গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২২ জুন) সকাল ৭.৩০ টার দিকে উপজেলার মন্ডুতোষ গ্রামে এঘটনা ঘটে।ওই গৃহবধু মন্ডতোষ গ্রামের আব্দুল খালেক এর প্রথম স্ত্রী ও তিন সন্তানের জননী।সকালে তার নিজ বাড়ির রান্না ঘরের ডাবের সাথে গলায় দোড়ি পেচানো অবস্থায় তার পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে।
গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে , প্রায় ১৫ বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে চাচাতো বোন মিনা খাতুনকে বিয়ে করে তার চাচাতোভাই আব্দুর খালেক।বিয়ের পর থেকেই চাচা মন্তাজ আলীর অর্থাৎ মিনার পিতাকে তার সমস্ত সম্পত্তি নিজের নামে লিখে চায় আব্দুল খালেক। মিনার পিতা কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন তারপরও মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে তার ১২ বিঘা জমি একমাত্র মেয়ে মিনার নামে দানপত্র রেজিস্ট্রি করে দেন।
এতে আব্দুল খালেক আরও রাগে যায় এবং মিনাকে আবার ওই জমি তার নামে লিখে দিতে বলে।এতে মিনা রাজি না হওয়ায় প্রায়ই স্বামী আব্দুল খালেক নির্যাতন করতো। কিন্তু তার নামে জমি লিখে না দিলে পরে আব্দুল খালেক দ্বিতীয় বিয়ে করে তাকে নিয়ে ঢাকায় চলে যায় এবং সেখানে একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন। তিনি মাঝে মধ্যে গ্রামে আসেন।তবে মিনার সাথে তার সুসম্পর্ক ছিল না।মিনার দেবর শানিল হোসেনও বড় ভাবী মিনাকে অত্যাচার করত বলে জানা যায়।সম্প্রতি সে মিনা কে মারধোর করে তার একটা হাত ভেঙ্গে দিয়েছিল।এ ছাড়া শানিল হোসেন(২৮) ও তার পরিবারের সদস্যরা আব্দুল খালেকের পক্ষ নিয়ে মিনার সাথে প্রায়ই দুর্ব্যবহার করতো।
মন্ডুতোষ গ্রামের একাধিক ব্যক্তি বলেন,রান্না ঘরের ডাবের সাথে মিনাকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে কিন্তু ওই ডাব থেকে মেঝের দূরত্ব এত বেশি নয় যেখানে ঝুলে আত্মহত্যা করা যায়।এই মৃত্যুর পিছনে রহস্য রয়েছে বলে তারা দাবি করেন। মিনার মামা সাহেব আলীও একই মত পোষণ করে বলেন,তার ভাগ্নির আত্মহত্যার কোনো কারণ নেই,তাকে মেরে ফেলা হয়েছে।
ভাঙ্গুড়া থানার ডিউটি অফিসার এএসআই মো: মাসুদ রানা বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাবনা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর বলা যাবে হত্যা না আত্মহত্যা। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।