জাকির আকন বিশেষ প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা পরিষদের সংরক্ষিত এলাকার সীমান প্রাচীর নির্মাণ ও পশ্চিম পার্শ্বে রাস্তাটির নির্মাণ কাজ ৩ বছওে শেষ না হওয়ায় পরিষদ সংলগ্ন প্রায় ৫০টি পরিবারের ২ শতাধিক বাসিন্দারা যাতায়াত সহ নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছে এবং সংরক্ষিত আবাসিক এলাকার নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে । এ বিষয়ে বাসিন্দাদের পক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একাধিকবার লিখিত অভিযোগ প্রদান করা হয়েছে । লিখিত অভিযোগ ও সরজমিনে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উপজেলা পরিষদের সংরক্ষিত আবাসিক ও অফিস এলাকার নিরাপত্তা ও সংরক্ষিত রাখার জন্য ২০১৪ সাল উপজেলার পরিষদের উদ্যোগে পরিষদের পশ্চিম পার্শ্বস্থ সীমানা প্রাচীর নির্মাণ ও সোনালী ব্যাংকের সামনে হতে পরিষদের পশ্চিম- দক্ষিণ বাইপাশ রাস্তা নির্মাণের জন্য উপজেলা পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় ।
তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আলতাফ হোসেন এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের আবাসিক ও অফিস এলাকার নিরাপত্তার জন্য পরিষদের পশ্চিমে রাস্তা নির্মাণ , পরিষদের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ ও সামনে অবৈধ স্থাপনা বন্ধ করে পরিষদের মার্কেট নির্মাণের জন্য উদ্যোগ নেন । ২০১৭ সালে উপজেলা এল,জি.ই,ডি মাধ্যমে পশ্চিম পার্শ্বস্থ রাস্তার জন্য ৭ লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে গাইড ওয়াল নির্মাণ করে রাস্তাটি নির্মাণের কাজ শুরু হয় । সম্প্রতি ২০২০ সালে পৌর সভার নতুন অডিটোরিমামের পাশ্বে টি আর প্রকল্পের মাধ্যমে রাস্তাটির সামান্য অংশে মাটির কাজ করা হয়েছে । কিন্তু ৩ বছওে ও রাস্তাটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি । রাস্তাটি নির্মাণ না হওয়ায় এখন ও উপজেলা পরিষদের মধ্যে দিয়ে সরাসরি যানবাহন চলাচল করছে এবং নিরাপত্তার জন্য পরিষদের প্রধান গেট মাঝে মধ্যে দিয়ে বন্ধ রাখা হয় । পরিষদের দক্ষিন পশ্চিম পার্শ্বস্থ এলাকা বাসিন্দাদের সরাসরি রাস্তা না থাকায় হেটে এসে পরিষদের ভিতরের রাস্তা দিয়ে আসতে হয় ফলে সরাসরি যাতায়াত সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছে বাসিন্দারা ।
বাড়ির সামনে রাস্তা না থাকায় রাত্রীতে অসুস্থ ব্যক্তি কে হাসপাতালে নেওয়া এবং বাড়ী পর্যন্ত মালামাল আনা নেওয়া সম্ভব হয় না এলাকার বাসিন্দাদের। বাসিন্দাদের পক্ষে লিখিত অভিযোগ কারী এ্যাডভোকেট আফাজ উদ্দিন জানান, উপজেলা পরিষদের দক্ষিন পার্শ্ব রাস্তাটির সাথে এই রাস্তাটির সংযোগে নির্মাণ না হওয়ায় আমরা গাড়ি নিয়ে বাসায় আসতে পারিনা আামরা এই এলাকার ২শতাধিক বাসিন্দা যাতায়াতের ভোগান্তিতে রয়েছি । এই এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান জানান উপজেলা পরিষদের সংরক্ষিত এলাকার নিরাপত্তা সীমানা প্রাচীর নির্মাণ ও নাগরিক সেবার জন্য রাস্তা নির্মাণ না করা দুঃখজনক। তাড়াশ পৌরসভার সচিব মোঃ আশরাফুল ইসলাম ভুইয়া জানান পৌরসভার প্রকল্পে পরিষদেও পার্শ্বে রাস্তা নির্মাণ কওে পুকুর সৌন্দয্য বর্ধন করে নাগরিক বসার জন্য সুবিধা এবং পরিষদের সামনে স্থাপনা ভেঙ্গে পরিকল্পিত মার্কেট নির্মাণ বরাদ্দ দেওয়া হবে । তাড়াশ উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান মনি জানান পরিষদের নিরাপত্তা ও নাগরিক সুবিধার জন্য পশ্চিম পার্শ্বে রাস্তা নির্মাণ ও প্রাচীর নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া দরকার ।