সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:২৬ অপরাহ্ন

ই-পেপার

বিএনপি-জামায়াত চক্র লামার মন্দিরে হামলায় জড়িত : পৌর মেয়র জহিরুল ইসলাম 

মোঃ নাজমুল হুদা, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধিঃ
আপডেট সময়: শনিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২১, ১১:০৬ পূর্বাহ্ণ

বিএনপি-জামায়াত চক্র লামার মন্দিরে হামলায় জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন লামার পৌর মেয়র মোঃ জহিরুল ইসলাম। সেখানে বিএনপি-জামায়াত চক্র দেশকে অস্থিতিশীল করতে ন্যাক্কার জনকভাবে গত ১৪ অক্টোবর লামা কেন্দ্রীয় হরি মন্দিরে হামলার পাশাপাশি বেশ কিছু সনাতন ধর্মালম্বী ব্যবসায়ীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর ও লুটপাট করে। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, নির্বাহী অফিসার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরাসহ আমি জীবনবাজি রেখে হামলাকারিদের প্রতিহত করার আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। অথচ গত ২১ অক্টোবর আরটিভি’র টকশোতে কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ ইমরান ছালেহ প্রিন্স’র মিথ্যা, কাল্পনিক ও ভিত্তিহীন বক্তব্য দিয়েছেন।
আজ শুক্রবার (২২অক্টোবর) বিকালে বান্দরবানের লামা প্রেসক্লাবের তৃতীয় তলাস্থ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বান্দরবান জেলার লামা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র মো. জহিরুল ইসলাম।
এ সময় তিনি আরো বলেন, ঢাকায় বসে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতার মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমুলক বক্তব্যই প্রমাণ করে, বিএনপি দেশকে অস্থিতিশীল করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার হীন চেষ্টা চালাচ্ছে মাত্র।
লিখিত বক্তব্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, গত ১৪ অক্টোবর তৌহিদী জনতার ব্যানারে লামা উপজেলায় আয়োজিত মানববন্ধন শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হওয়ার পর বিএনপি, জামায়াত এর নেতা-কর্মীরা আয়োজক কমিটিসহ আমাদের সকলের নিষেধ উপেক্ষা করে বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিল থেকে লামা কেন্দ্রীয় হরি মন্দির ও পুলিশের উপর হামলার করা হয়। হামলায় থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান আহতসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হন।
তিনি আরো বলেন, জীবনবাজি রেখে তখন আমি, উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভকারীদের প্রতিহত করি। সেদিন যদি জীবনবাজি রেখে বিক্ষোভকারীদের প্রতিহত না করতাম, তা হলে আরো বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতো। অথচ বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতা নির্লজ্জভাবে মিথ্যা ও কাল্পনিক বক্তব্য দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করার হীন চেষ্টা চালিয়েছেন। বিএনপি’র এ নেতার বক্তব্যের তীব্র ও প্রতিবাদ জানান মো. জহিরুল ইসলাম।
এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি মো. মোস্তফা জামাল, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বাথোয়াইচিং র্মামা, কেন্দীয় হরি মন্দির কমিটির সভাপতি প্রসান্ত কান্তি ভট্রাচার্য ও সাঃ সম্পাদক প্রদীপ কান্তি দাশ।
এ সময় বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতিবও দুই জেলা পরিষদ সদস্য শেখ মাহবুবুর রহমান, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ফাতেমা পারুল, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ও ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ জাহেদ উদ্দিন, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মংক্যলা মার্মা, সাধারন সম্পাদক মো. শাহিন, পৌর ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. সুমন মাহমুদ , কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম সাদ্দাম,  সাধারন সম্পাদক সালা উদ্দিন ভুঁইয়া নাহিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলন এক প্রশ্নের জবাবে মন্দির কমিটির সভাপতি প্রশান্ত ভট্টাচার্য্য ও সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কান্তি দাশ এক সূরে বলেন, লামা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মো. জহিরুল ইসলাম ঘটনার সময় জীবনবাজি রেখে বিক্ষোভকারীদের প্রতিহত করেছিলেন। তিনি ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে বিক্ষোভকারীদের হামলার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিক্ষোভকারীদের প্রতিহত করতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছেন। আমরা বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ ইমরান ছালেহ প্রিন্স’র মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমুলক বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন করছি। 

 

#চলনবিলের আলো / আপন


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর