বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:৪০ অপরাহ্ন

ই-পেপার

আর কত বছর হলে উপজেলা পরিষদ নির্মাণ হবে

মাহমুদুল হাসান, চৌহালী প্রতিনিধি:
আপডেট সময়: শুক্রবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৮:১১ অপরাহ্ণ

সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলা পরিষদ ভাসমানের  আট বছর। আর কত বছর হলে উপজেলা পরিষদ নির্মাণ হবে   জানতে চায় চৌহালীর মানুষ।
  দীর্ঘদিন ধরে চৌহালী সরকারী কলেজে এর  কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।  যমুনা নদীর ব্যপক ভঙ্গন  তান্ডব লীলায় বিলীন হয়ে যায় চৌহালী উপজেলা পরিষদ সহ বহু সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা। উপজেলা সদর রক্ষার জন্য বাপাউবো কর্তৃক যমুনা নদী পূর্ব তীর রক্ষা  বাধ নির্মাণ হওয়ায় উপজেলা পরিষদের জন্য কোদালিয়া গ্রামে ভূমি নির্বাচন ও ভূমি মালিকদের টাকাও পরিশোধ করা হয়।  কিন্তু বছরের পর বছর চলে যাচ্ছে তবুও ভবন নির্মাণের কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না । ফলে  ব্যহত হচ্ছে প্রশাসনিক কর্মকান্ড। চৌহালী সরকারি কলেজের বিভিন্ন ভবন ও টিন সেড ঘর   ব্যবহার করে ডিমে তালে নামকাঅস্তে চলছে প্রশাসনিক কার্যক্রম।
 ২০১১ সালে  যমুনার পূর্ব পাড়ে চৌহালী অংশে  ভাঙ্গন শুরু হয়,  যার দরুন উপজেলা পরিষদটি ২০১৩  সালে নদীগর্ভে সম্পূর্নরুপে বিলীন হয়ে যায় এবং সকল সরকারি দপ্তরগুলো ঠাই নেয় চৌহালী সরকারি কলেজ ও বিভিন্ন শিক্ষা  প্রতিষ্ঠানসহ আস-পাশের বিভিন্ন বাড়ির ভাড়া করা ঘরে।
সরেজমিনে দেখা যায় উপজেলা পরিষদের  একোয়ারকৃত নিজস্ব জমিতে চাষ হচ্ছে ধান সহ নানা ফসল।  চৌহালীর উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে  সরকারের জমি উন্মুক্ত এবং ভবন নির্মানে কোন রকম পদক্ষেপ নজরে  নেওয়া  হচ্ছে  না।
  উপজেলা পরিষদ স্থাপনে ভবন  নির্মাণ করা হলে উন্নয়ন মুলক কাজে আসা মানুষের সময় যেমন বাঁচবে তেমন কমবে ভোগান্তিও । এ দাবি চৌহালীর ভাগ্যবিরাম্বিত গণমানুষের। তারা সরকারের কাছে ত্রাণ ও সাহায্য চায় না, চায় উপজেলা পরিষদ বাস্তবায়ন। ডিজিটাল যুগে বাংলাদেশে একটি মাত্র উপজেলা পরিষদ ভাসমান, এখনো আলোর মুখ দেখছে না।
কর্তৃপক্ষের অবহেলায়  চৌহালীর উচ্চ শিক্ষার একমাত্র বিদ্যাপিঠ হিসাবে খ্যাত চৌহালী সরকারী কলেজের  শত শত ছাত্র  ছাত্রীদের পড়াশুনা বিঘ্নিত হচ্ছে কর্তৃপক্ষের অবহেলায় ।
চৌহালী ছিল বাংলাদেশের অন্যতম একটি সাজানো গোছানো উপজেলা যা কালের বির্বতনে নদী গর্ভে হারিয়ে যায়। আবার সময় এসেছে সাজিয়ে গুছিয়ে আধুনিক ( মডেল) কমপ্লেঃ  নির্মান শৈলীতে  উপজেলা পরিষদটি স্থাপনের। চৌহালী উপজেলা পরিষদের নিজস্ব ভুমিতে সরকারি স্থাপনা  শতভাগ বাস্তবায়ন দেখতে  চায়  সর্বস্তরের জনগণ।
এবিষয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ তাজউদ্দিন বলেন, সরকারের উন্নয়ন জনগনের দৌড় গড়ায় পৌছে যাচ্ছে তারই ধারাবাহিকতায় দ্রুতই উপজেলা পরিষদ স্থাপন হবে।
 এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আনিসুর রহমান  জানান- ভূমি অধিগ্রহণ আইন ১৯৮১ অনুযায়ী দেড়গুণ টাকা হিসেবে কিন্তু আবার নিয়মে আছে যখন অধিগ্রহণ শুরু হবে তখনকার প্রচলিত আইনে মূল্য পরিশোধ করতে হবে, কিছু জটিলতা থাকলেও তা কাটিয়ে উঠছে। আমরা অতিরিক্ত টাকার জন্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছি এবং একজন যুগ্মসচিবসহ কয়েকজন  সরেজমিনে পরিদর্শন ও তদন্ত করে গেছেন।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন সরকার বলেন- মোট ৬ একর জমির ৩ একর জমির মূল্য পরিশোধ করা হয়েছে আশা করছি খুব দ্রুত বাকি জমির মূল্য পরিশোধ করে টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হবে ইনশাআল্লাহ। 

 

#চলনবিলের আলো / আপন


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর