সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:৪৯ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

আটঘয়িায় মুরগির খামারের বিষ্ঠার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

মাসুদ রানা, আটঘরিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি:
আপডেট সময়: বৃহস্পতিবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৯:৫১ অপরাহ্ণ

পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামে মুরগির খামারের বিষ্ঠার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। অভিযোগ উঠেছে, নীতিমালা উপেক্ষা করে গ্রামের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় খামারটি স্থাপন করা হয়েছে।

উপজেলার মাজপাড়া ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় মুরগির খামার স্থাপন করেন মৃত ইসাহাক মোল্লার ছেলে শফি মোল্লা। বর্তমানে খামারে প্রায় আড়াই হাজার মুরগি রয়েছে। মুরগির বিষ্ঠার কারণে এলাকার পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। বিষ্ঠার দুর্গন্ধে খামারের চারদিকে মানুষের বসবাস করা দায় হয়ে পড়েছে। অথচ নীতিমালা অনুযায়ী, একটি মুরগির খামার স্থাপনের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ও প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে রেজিস্ট্রেশনভুক্ত হতে হবে। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা এবং জনগণের ক্ষতি হয় এমন স্থানে খামার স্থাপন করা যাবে না।
গত বৃহস্পতিবার দূর্গাপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, খামারটির আশপাশে মুরগির বিষ্ঠা ছড়িয়ে –ছিটিয়ে আছে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই। খামারের চারপাশে বসতবাড়ি। এসব বাড়ি থেকে তীব্র দুর্গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।

গ্রামের রানা ও রঞ্জু বলেন, ‘আমার বাড়ির পাশেই খামার। বিষ্ঠা থেকে সব সময় দুর্গন্ধ ছড়ায়। আশপাশে বসবাস করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। সাহেব আলী বলেন, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে খামারটি সরানো দরকার বলে মনে করছেন তারা। এই ওয়ার্ডের বাসিন্দারা মুরগির খামারের বিষ্ঠার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। মুরগির বিষ্ঠার কারণে এলাকার পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। বিষ্ঠার দুর্গন্ধে খামারের চারদিকে মানুষের বসবাস করা দায় হয়ে পড়েছে।

শফিকুল ইসলাম বলেন, আমার বাড়ির পাশেই খামার। বিষ্ঠা থেকে সব সময় দুর্গন্ধ ছড়ায়। আশপাশে বসবাস করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। করোনা ভাইরাসের এ ক্রান্তিলগ্নে কোনো রকম স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই খামার মালিক শফি মোল্লা মুরগির খামার পরিচালনা করছেন। প্রতিবাদ করলে শফি মোল্লা গ্রামবাসীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ও বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেয়।

তিনি বলেন, খামারটি স্থাপনে পরিবেশ অধিদফতর ও প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের অনুমতি নেয়া হয়েছে কিনা এটাই প্রশ্ন। এ ছাড়া এলাকায় অবস্থিত খামারের বর্জ্য অপসারণের ব্যবস্থা নেই। খামারটি স্থাপনের ক্ষেত্রে জাতীয় পোলট্রি উন্নয়ন নীতিমালা মানা হয়নি। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষে সৃ-দৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকাবাসি।

 

 

#চলনবিলের আলো / আপন


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর