দেশি ফলগুলোর মধ্যে পেয়ারা খুব জনপ্রিয় একটি ফল। সেইসঙ্গে এটি অনেক সহজলভ্য এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর। পেয়ারাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি এবং ভিটামিন এ। একটি মাঝারি আকৃতির কমলা থেকে একটি পেয়ারাতে চার গুণ বেশি ভিটামিন সি থাকে। এবং ১০ গুণ বেশি ভিটামিন এ রয়েছে একটি লেবুর তুলনা বেশি।
দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে- ভিটামিন এ চোখের জন্য উপকারি একটি উপাদান। পেয়ারাতে থাকা ভিটামিন এ কর্নিয়াকে সুস্থ রাখে এবং রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় পেয়ারা রাখার অভ্যাস করুন।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে- পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে। আর ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে এবং শরীরকে বিভিন্ন রোগের সাথে যুদ্ধ করার শক্তি প্রদান করে।
হার্ট সুস্থ রাখতে সাহায্য করে- ও রক্ত চাপ ও রক্তের লিপিড কমে। পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম, ভিটামিন সি রয়েছে। পটাশিয়াম নিয়মিত হৃদস্পন্দনের এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা রাখে। নিয়মিতভাবে লাইকোপিন সমৃদ্ধ গোলাপি পেয়ারা খেলে কার্ডিওভাস্কুলার রোগের ঝুঁকি কমায়।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে- চাইনিজ চিকিৎসা শাস্ত্ররে অনেক বছর ধরে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে পেয়ারা ব্যবহার হয়ে আসছে। পেয়ারার রসে থাকা উপাদান ডায়াবেটিস মেলাইটাসের চিকিৎসায় খুবই কার্যকর। সেই সঙ্গে ডায়াবেটিস প্রতিরোধে পেয়ারা পাতাও বেশ কার্যকর।
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়- পেয়ারাতে লাইকোপিন, ভিটামিন সি, কোয়ারসেটিন এর মত অনেকগুলো অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে যা শরীরের ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধি রোধ করে। এটি প্রোসটেট ক্যান্সার এবং স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
#চলনবিলের আলো / আপন