ফরহাদুল ইসলাম,আনোয়ারা প্রতিনিধি:
আনোয়ারায় “আ” আদ্যাক্ষরের নামে একটি ফাউন্ডেশন খুলে ও মাদ্রাসার নামে চলছে ব্যক্তি ও পরিবারের সম্পদ অর্জন। বিষয়টি নিয়ে আনোয়ারার সচেতন নাগরিক ফোরাম সরকারী ও বেসরকারি বিভিন্ন মহলে চিঠি ইস্যু করার সিন্ধান্ত নিয়েছে। ফাউন্ডেশন ও মাদ্রাসাটির নামে দেশ- বিদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করে ব্যক্তি ও পরিবারের নামে জায়গা, বাড়ী,গাড়ীর মালিক বনে গেছে পরিবারটি। বিনা পুঁজিতে হয়ে গেছে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ। মাদ্রাসাটির নামে দখল করেছে স্থানীয় নিরীহ মানুষের শেষ সম্পত্তিও। তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে চাইলে তাদেরকে মামলা- হামলার ভয় দেখিয়ে নীরব করে দেয়। তাদের অবস্থা দৃষ্টিতে মনে হয় তাদের চাইতে সম্পদশালী ও জ্ঞানী যেন আর দেশে নেই।
ইতিমধ্যে ফাউন্ডেশন ও মাদ্রাসাটির নাম দিয়ে পরিবারটি নামে-বেনামে সম্পত্তির পাহাড় গড়েছে। সকল বিষয়ে খোঁজ নিতে আনোয়ারার একদল সাহসী যুবক উদ্দ্যোগ গ্রহণ করেছে। তাদের ভাষ্যমতে একটি পরিবার আল্লাহ ও রাসুলের নামকে পুঁজি করে বিদেশে কথিত সাইনবোর্ড ব্যবহার করে এবং মাদ্রাসার ভবন দেখিয়ে এবং বার্ষিক সভায় বিদেশ থেকে আলেম এনে সেগুলোকে পুঁজি করে নেমে পড়েছে রমরমা ব্যবসায়। তাদের বিরুদ্ধে এখনিই কথা বলার সময়। তারা ভিন্নমতের রাজনীতি করেও এখন বর্তমান রাজনীতির সাথে মিশে গাঁ ভাসিয়ে এসব কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছে। তাদের আত্মীয় এবং তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খোঁজ নিলে তাদের অতীত রাজনৈতিক ইতিহাস বেড়িয়ে আসবে। এ সমস্ত রং পরিবর্তনকারী ও অবৈধ সম্পদ অর্জনকারীর বিরুদ্ধে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জিহাদ ঘোষণা করেছেন।
সুতরাং এখনই সময় তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে দেশের সরকারী প্রতিষ্ঠানের উচ্চ কর্মকর্তা ও দূর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে তাদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়ে তাদের সম্পদের আয় ব্যয় ও সম্পত্তির মালিকানা দেখে অবৈধ সম্পত্তি গুলোকে সরকারের অধীনে নিয়ে আসা একান্ত প্রয়োজন আছে বলে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করে। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের নজরে যেন না আসে সেজন্য কৌশলে কিছু প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতাদেরকে অর্থের বিনিময়ে ব্যবহার করে। তাই প্রতিবাদী যুবকরা তাদের এহেন কর্মকান্ডে প্রশাসন ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ সবাইকে এ বিষয়ে সোচ্চার হয়ে এগিয়ে আসার আহবান জানান।