সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:১৭ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

আটঘরিয়ায় ড্রাগন ফলচাষে সফল বাহাউদ্দিন মাস্টার

মাসুদ রানা আটঘরিয়া(পাবনা)প্রতিনিধি:
আপডেট সময়: শনিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২১, ৫:১২ অপরাহ্ণ

অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক বাহাউদ্দিন।, শিক্ষকতা জীবনে স্বল্প আয়ে ৪ ছেলে ও ২ মেয়ের লেখা-পড়ার খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলাম । প্রথমে তিনি ৬৬ শতক জমিতে ড্রাগন চাষ শুারু করেন। প্রথম বছরে খুব বেশি লাভ না হলেও পরের বছর নিজের উৎপাদিত চারা দিয়ে ১১২ শতক জমিতে ড্রাগন চাষ শুরু করেছেন । ১১২ শতক জমি থেকে প্রতি বছর খরচ বাদে গড়ে প্রায় ৬ থেকে ৮ লক্ষ টাকা আয় হচ্ছে। বর্তমানে তিনি একজন সফল কৃষক বলে এলাকায় ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছেন।

আটঘরিয়া উপজেলায় এবার বিদেশি ড্রাগন ফল চাষ করে সফলতার পেয়েছে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও কৃষক বাহার উদ্দিন শেখ। সে নতুন নতুন ফসল চাষে জেলার আটঘরিয়া উপজেলার হাজিপাড়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও কৃষক বাহার উদ্দিন শেখ ব্যাপক সাফল্য লাভ করেছেন। ইতোমধ্যেই তিনি ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছেন। ফলটি লাভজনক হওয়ায় ড্রাগন চাষ সম্প্রসারণ করেছেন। এখন ছড়িয়ে দিতে দেশব্যাপী । চাষি বাহার উদ্দিন ক্রমাগত এই নতুন চাষে নিজের ভাগ্যের পরিবর্তনের পাশাপাশি তিনি কৃষকদের পথিকৃত হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন।

বাহার উদ্দিন শেখ বলেন, ছেলে নাজিম উদ্দিন শেখ চাকুরি কারার সুবাদে ঢাকায় থাকেন। সে ফল গবেষনাগারে খবর নিয়ে চারা সংগ্রহ করে ৬৬ শতক জমিতে ড্রাগন চাষ শুরু করি। পরবর্তীতে ভালো ফলন পাওয়ায় আরও ৬৬ শতক জমিতে ড্রাগন চাষ করি। এ ফল চাষে রাসায়নিক সার প্রয়োগ করতে হয় খুবই কম। সাধারণত গোবর ও মুরগির বিষ্টা প্রয়োগ করা হয়। পাকা ফল ফ্রিজিং বাদেই ১৫ দিন ভালো থাকে। এলাকায় ড্রাগন চাষ ছড়িয়ে দিতে আমি অন্যদের পাঁচ হাজার চারা দিয়েছি।

এদিকে উপজেলার মাজপাড়া গ্রামের জহুরুল ইসলাম নামের এক সৌখিন চাষি বলেন, আমি বাহার উদ্দিন মাষ্টারের ড্রাগন বাগান দেখে উৎসাহিত হয়ে তারকাছ থেকে ৫ হাজার চারা নিয়ে ৫ বিঘা ড্রাগন ফলের বাগান করেছি। তিনি বলেন, ড্রাগন চাষে প্রথম বছর খরচ একটু বেশি হয়। পরের বছর থেকে খরচ নেই বললেই চলে। এ বছর গাছের পরিচর্যা, সেচ ও সার বাবদ ৬-৮ লক্ষ টাকা ব্যায় হলেও প্রথম বছর খরচ বাদ দিয়ে প্রায় ৬-৮ ল¶ টাকা আয় করা যাবে।

আটঘরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সজীব আল মারুফ বলেন, বাংলাদেশে এ ফলের চাষ এখনও সেভাবে শুরু হয়নি। আটঘরিয়া উপজেলায় বাহার উদ্দিন মাষ্টার নামে একজন চাষি ক্যাকটাস প্রজাতির এ ফলের চাষ শুরু করেছেন। এই ফলটি লাল, হলুদ, গোলাপিসহ বিভিন্ন রং এর হয় বিধান রং এর কারনে ফলটি অধিক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন এ ফল চোখকে সুস্থ রাখে, শরীরের চর্বি কমায়, রক্তের কোলেস্টেরল কমায়, উচ্চ রক্তচাপ কমানোসহ বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে । ঢাকাতে এ ফলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। স্থানীয় বাজারেও এ ফল বিক্রি শুরু হয়েছে। এই ফল চাষে চাষিদের হটিকালচার এর মাধ্যমে প্রশিক্ষণ এবং ছাদ বাগানের বিষয়ে উৎসাহিত করা হয়।

 

 

#চলনবিলের আলো / আপন

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর