সিরাজগঞ্জ তাড়াশ উপজেলা সহ বিভিন্ন উপজেলায় গরু দিয়ে হাল চাষের পদ্ধতি উঠে গেছে। এরপর গরুর মই দিয়ে জমি সমান করার পদ্ধতিও হারিয়ে যেতে বসেছে।
নওগাঁ ইউনিয়নের মহেশরৌহালী গ্রামের কৃষক আব্দুল ছাত্তার বলেন, বর্তমানে ট্রাক্টর বা পাওয়ার টিলার দিয়ে জমি চাষ করা হয়। কিন্তু সেসব যন্ত্র দিয়ে মই টেনে জমির কাঁদা ঠিকমতো সমান হয়না। কাঁদা সমান করার জন্য গরুর মইয়ের খুব প্রয়োজন।
মহেশরৌহালী গ্রামের দক্ষিন পাড়ার জয়ান ফকির বলেন, সম্ভবত তিনিই একমাত্র ব্যক্তি, মই দিয়ে চাষ পদ্ধতি টিকিয়ে রেখেছেন।
জানা গেছে, এখনও গরুর মইয়ের অনেক চাহিদা রয়েছে। গরুর মই দিয়ে আহম্মেদ আলীর সংসারের অভাব কেটে গেছে। এ কাজে তার ভালো টাকা আয় হত। আগের দিন গুলোতে কৃষকেরা দল বেঁধে নাঙ্গল জোয়াল,ও মই দিয়ে সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত জমি চাষ করত,এতে জমিতে যেমন গভিরতা বৃদ্ধি পেত তেমনি জমির উরর্বতা বৃদ্ধি পেত, তার সাথে ফসলও বৃদ্ধি পেত।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফুননাহার লুনা বলেন, গরুর নাঙ্গল তুলনামূলক গভীর থেকে মাটি তুলে উল্টে দিতে পারে। এতে জমির উর্বরা শক্তি বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে বিভিন্ন যন্ত্রের সাহায্যে চাষাবাদ করা হলেও গরুর হাল ও মইয়ের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে,তিনি আরও বলেন এই ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখার জন্য গন সচেনতা গড়ে তুলতে হবে।
#চলনবিলের আলো / আপন