পাবনার ভাঙ্গুড়া পৌরসভার কলেজ পাড়া মোড়ে বুধবার (১১ আগষ্ট) দুপুর একটার দিকে সোনা নিশি নামে এক বৃদ্ধ ক্ষুধায় কাতরাচ্ছিলেন। সবার কাছে সাহায্য চাচ্ছিলেন কিছু খাবার খাওয়ার জন্য। কিন্তু তার পাশে কেউ আসলো না। সবাই ভেবেছিল লোকটি হয়তো পাগল তাই তার কথা কেহ বিশ্বাস করেনি। কলেজপাড়া মোড়ে করোনা টিকা রেজিস্ট্রেশন বুথে কাজ করছিলেন ভাঙ্গুড়া উপজেলা আনসার কোম্পানী কমান্ডার ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ভাঙ্গুড়া পৌর শাখার সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক এবং শিক্ষক সমিতি ভাঙ্গুড়া উপজেলা শাখার সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব শেখ মোঃ আব্দুস সামাদ মাষ্টারের ছেলে শেখ সাখাওয়াত হোসেন (বি.এ)। শেখ সাখাওয়াত হোসেন বৃদ্ধ লোকটির কাকুতি-মিনতি দেখতে পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে বুথ থেকে উঠে ওই বৃদ্ধ লোকটির পাশে গিয়ে পুরি, সিঙ্গারা, সেবেন আপ, কলা, পাওরুটি ও ফ্রেশ পানি নিয়ে বৃদ্ধ লোকটিকে খাইয়ে দেন। খাওয়ানোর শেষে বৃদ্ধ লোকটি শেখ সাখাওয়াত হোসেনের মাথায় হাত বুলিয়ে প্রাণভরে দোয়া করেন।
জানা যায়, ওই বৃদ্ধের বাড়ি চাটমোহর উপজেলার নিমাইচড়া ইউনিয়নের করোকোলা গ্রামে। তিনি পেশায় ছিলেন একজন কুলি। একসময়ে অনেক ভারী ভারী বস্তুা মাথায় বহন করলেও এখন বয়সের ভারে তার নিজেই চলা কঠিন হয়ে পড়েছে। ওই বৃদ্ধ লোকটিকে খাওয়ানো শেষে শেখ সাখাওয়াত হোসেন জিজ্ঞেস করেন তিনি কোথায় যাবেন উত্তরে তিনি বলেন আমি অষ্টমনিষা যাবো। কিন্তু বাবা আমার কাছে তো অষ্টমনিষা যাওয়ার ভাড়া নেই। সঙ্গে সঙ্গে শেখ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আপনার কোন চিন্তা নেই আমি ভাড়া দিয়ে দিচ্ছি আপনি চলে যাবেন। তারপরে ওই বৃদ্ধ লোকটিকে কোলে করে ভ্যানে তুলে দেন এবং ভ্যান ভাড়া দিয়ে দেন। সর্বশেষে ওই লোকটিকে হাত খরচের জন্য কিছু টাকা দিয়ে দেন। এমন মহৎ কাজ দেখতে পেয়ে কলেজ পাড়া মোড়ে উপস্থিত উৎসুক জনতা অসংখ্য ধন্যবাদ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন শেখ সাখাওয়াত হোসেনকে।
#চলনবিলের আলো / আপন