করোনা ভাইরাসের প্রভাবে বন্ধ রয়েছে হোটেলও দোকানপাট বিয়ে,সামাজিক অনুষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকার ফলে কমেছে পোল্ট্রি মুরগি দাম চরম লোকসান গুনতে হচ্ছে পোল্ট্রি খামারিদের।
উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিস সুত্র জানা যায়, উপজেলায় নিবন্ধিত-অনিবন্ধিত মোট ৪৪০টি (বয়লার, লেয়ার ও সোনালি কক) মুরগির খামার রয়েছে। প্রায় সব খামারই ছোট বা মাঝারি ধরণের। তবে ব্রয়লার মুরগির খামারই বেশি।
খামারিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, করোনা ভাইরাস বিস্তারের আগে বয়লার মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হতো ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। বর্তমানে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে 100 থেকে 120 টাকায়। প্রতিদিনই কমছে মুরগির দাম।
উপজেলার ভুলবাড়িয়া ইউনিয়নে তেবাড়িয়া গ্রামের খামারি পারভেজ হাসান জানান, ডিলার কাছে মুরগির বাচ্চা কিনেছিলাম ২৫ টাকা পিচ ও খাদ্য কিনেছি ৫২টাকা কেজি, ওষুদের খরচ ১৫ অন্যান্য খরচ ১৩ টাকা। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগিতে খরচ হচ্ছে প্রায় ১০৫টাকা। এখন সেই মুরগি ২০থেকে-২৫ টাকা লোকসানে বিক্রি করতে হচ্ছে। দুটি খামারের মুরগি বিক্রি করে গত সপ্তাহে প্রায় ৮০হাজার টাকা লোকসান গুনতে হয়েছে।
সাঁথিয়া উপজেলা তেবাড়িয়া বাজারের সবচেয়ে বড় পোল্ট্রি খাদ্যে বিক্রির প্রতিষ্ঠানের মালিক মোঃ আবুল মাজেদ জানান, আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সাথে প্রায় ১শ খামারি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এসব খামারে বাকি-নগদে মুরগির খাদ্য ও ওষুদের যোগান আমরা দিয়ে থাকি। বর্তমান পরিস্থিতিতে মুরগির চাহিদা না থাকায় ধুনটে আনেক খামারি প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানান ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন খামারি জানান,সমিতি ও এনজি থেকে ঋণ নিয়ে খামার চালাতেন। এখন করোনার কারণে লোকসান গুনে পথে বসার উপক্রম হয়েছে। জীবন বাঁচাতে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে সংসার চালাচ্ছেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জানান, ছোট ও মাঝারি আকারের প্রায় ৪৪০টি খামার রয়েছে। করোনার প্রভাবে খামারিরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে মুলত লকডাউনের জন্য। কারন লকডাউনে গাড়ি ভাড়া বেশি পড়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে খামারিরা ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবে।
#চলনবিলের আলো / আপন