পাবনা সদরে চাঁদা বাজ, দেহ ব্যবসায়ী, চোর ও মাদক ব্যবসায়ীর এক আতংকের নাম সদর পুলিশ ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর মোঃ আবুল কালাম। পুলিশ পাবনা সদরের চাঁদাবাজ, চোর, দেহ ব্যবসায়ী ও মাদক ব্যবসায়ীদের বাড়া ভাতে ছায় দিয়েছে। সদরে চেঞ্জ্য মেকার হিসাবে কাজ করেছেন পাবনা সদর পুলিশ ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর মোঃ আবুল কালাম। চাঁদাবাজদের হাত থেকে রক্ষা করেছেন অসহায় অল্পবিস্তর আয়ের মানুষদের। পাবনা সদরে কয়েকটি পয়েন্টে প্রতিদিন ৫০/১০০ টাকা হরে প্রকাশ্য দিবালোকে চাঁদাবাজি হত। বেপরোয়া চাঁদাবাজির কারণে বড় বাজারে যানজটের সৃষ্টি হতো। ভ্যান অটোবাইক চালকরা টাকা দিতে দেরি করলে চাঁদাবাজরা লাঠিদিয়ে পেটাতো চালকদের । কেড়ে নোয়া হতো গাড়ির চাবি। মনে হতো তাদেরই টাকা দিয়ে কেনা যেন এই যানবাহন। অসহায় চালকদের বোবা কান্নায় শুধু ছিলো শান্তনা। অতীতে থানা পুলিশের ভূমিকা ছিলো স্বরুপ। ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে পাবনা সদর পুলিশ ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর হিসাবে দায়িত্ব নেন আবুল কালাম। কর্মদিবসের শুরুতে তিনি চাপ ও বাঁধার প্রাচীর ভেঙ্গে মানবিক পুলিশ হিসাবে চাঁদাবাজি, চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, ইভটিজিং, মাদক ব্যবসা ও জুয়া খেলা বন্ধ, চোরাই হোন্ডা উদ্ধার সহ চোর চক্রের সদস্য গ্রেফতার, দ্রুত সময়ে হত্যা মামলার পাতালত আসামী গ্রেফতার ও পাবনায় দেহ ব্যবসা সহ নানান অপকর্ম বন্ধ কারার জন্য অক্ল্যান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন। শহরের ভ্যান চালক মতিন, টলি চালক মুতাই, অটো চালক সিদ্দিক, রাহিমসহ আরো অনেকে বলেন, এবার পাবনার পুলিশ সুপার মনে হয় ভালো মানুষ। আমাদের গাড়ীর সামনে কেউ লাঠি নিয়ে আসে না। সামনে দাড়ায় না। টেকা চায় না। এর আগে কতবার আমরা তাদের হাতে মার খেয়েছি কোন বিচার পায়নি। আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হওয়া চাঁদাবাজদের বাড়া ভাতে ছায় দিলেন সদর পুলিশের কালাম ভাই।
চাঁদাবাজদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া ভ্যান চালক ও অটোবাইক চালকদের শান্তির আত্মার ডাক প্রতিধ্বনিত হয়েছে। এ বিষয়ে সদর পুলিশ ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর মোঃ আবুল কালাম এর সাথে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বর্তমান পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম এর নির্দেশনায় পাবনা জেলা পুলিম যে কোন ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স কাজ করে যাচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় পাবনা সদরের অপরাধ নিবারন কল্পে সদর পলিশ ফাঁড়ি সহ আমার টিম নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
#চলনবিলের আলো / আপন