হাঁসপালন করে তার ভাগ্য পরিবর্তন করতে চান কৃষক ইদ্রিস আলী। বাড়ীর পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া চিকনাই নদী। নদীর পাড়ের উপর তার বাড়ী। অন্যের হাঁসপালন দেখে মাঝেমধ্যে উদ্যোগ নেন তিনি হাঁসপালন করবেন। সংসারের কাজ কর্মের পাশাপাশি হাঁসপালনের ইচ্ছোটাই জাগে তার শখের বসে। প্রথমে ১হাজার হাঁসের বাচ্চা কিনে বাড়ীর আঙ্গিনায় শুরু করেন হাঁসপালন। এর পর ধীরে ধীরে তার মনে জাগে বড় পরিসরে হাঁস পালনের শখ। নিজের সামান্য জমিজমা থাকলেও পাশে খালবিলে তিনি হাঁস পালন শুরু করেন। এভাবেই বর্তমানে ১ হাজার হাঁসের একটি খামার গড়ে তোলেন চিকনাই নদীর পাশে বসবাসরত ইদ্রিস আলী। উপজেলার তাঁরাপাশা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদ আলীর ছেলে ইদ্রিস আলী হাঁসপালন করে এলাকার ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। তার খামার দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে উৎসুক জনতার ভিড় করছেন।
সরজমিনে হাঁসের খামার ঘুরে দেখা গেছে, মাস ছয়েক আগে তিনি মান্নান নগর হ্যাঁচাড়ী থেকে ১ হাজার হাঁসের বাচ্চা কিনে একটি খামার শুরু করেন। বর্তমানে তার খামারে ১ হাজার কেমবেল জাতের হাঁস রয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব হাঁসে ডিম দিতে শুরু করেছেন। তিনি নিজে ও পরিবারের সকল সদস্যরা এই হাঁস পালনে দেখা শুনা করেন। তার দেখা দেখি ওই এলাকার অনেক পরিবার হাঁসের খামার গড়ার জন্য পরামর্শ নিচ্ছেন ইদ্রিস আলীর কাছ থেকে।
খামারী ইদ্রিস আলী বলেন, আমি শখের বসে ১ হাজার কেমবেল জাতের হাঁসের বাচ্চা কিনে ছোট পরিসরে একটি খামার করেছি। সেই থেকে বর্তমানে আমার খামারে কেমবেল জাতের হাঁস আছে। বর্তমানে এই হাঁস গুলো ডিম দিতে শুরু করেছে।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে কেমবেন জাতের হাঁস ভাল। এখন কিছু হাঁস ডিম দিতে শুরু করেছে। এতে আমার খরচবাদে ভালো টাকা লাভ হবে বলে তিনি মনে করছেন। বর্তমানে হাঁসের খাবারের দাম, ঔষধ এর দাম এতটু বেশি পড়ছে। তাই আমি হাঁস পালনে আগ্রহী হয়েছি। তিনি আশা করেন আমার এই হাঁসপালন দেখে এলাকার অনেক ছোট বড় পরিবার ছোট ছোট হাঁসের খামার গড়ে তুলেছেন। তবে কেউ যদি আমার কাছে হাঁসপালন বিষয়ে পরামর্শ নিতে চাইলে তাদেরকে আমি এবিষয়ে পরামর্শ দিয়ে থাকি।
#চলনবিলের আলো / আপন