দায়িত্বে অবহেলা ও কর্তব্যরত আনাড়ী চিকিৎসকের অপচিকিৎসায় এক নবজাতকের মাতৃগর্ভে মৃত্যু হয়েছে। ওই রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে অর্থ আদায় ও রোগীর স্বামীর কাছ থেকে জোরপুর্বক সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ উঠেছে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার একটি বেসরকারী হাসপাতালের বিরুদ্ধে।
উপজেলার ধানডোবা গ্রামের সবুজ ভূইয়া জানান, তার স্ত্রী ফরিদা বেগমের প্রসব বেদনা শুরু হলে পার্শ্ববর্তী বেজগাতী সুইজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগে দায়িত্বে থাকা ডিএমএফ চিকিৎসক শফিকুল ইসলাম নিজেই আলট্রাসনোগ্রামসহ বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে গর্ভের বাচ্চা ও মা দু’জনেই সুস্থ আছে জানিয়ে দুই সপ্তাহ পর বাচ্চা প্রসব হবে জানিয়ে রোগীকে ব্যাথা উপশমের জন্য স্যালাইন প্রদান করেন। পরে রোগির প্রসব ব্যাথা বেড়ে গেলে স্যালাইনে ইনজেকশন পুশ করানো হয় এবং রোগিকে হাসপাতালে ভর্তি করে রাখার পরামর্শ দেন আনাড়ী চিকিৎসক শফিকুল।
সোমবার সকালে গৃহবধু ফরিদা বেগমের শাশুড়ী অভিযোগ করে বলেন, স্যালাইনের মধ্যে ইনজেকশন পুশ করার কিছুক্ষণ পড়ে তার পুত্রবধু ফরিদার প্রসব ব্যাথা আরও বেড়ে যায়। এসময় হাসপাতালের নার্স-ডাক্তারদের ডাকাডাকি করলেও কেউ এগিয়ে আসেনি। ফলে অপচিকিৎসা ও অবহেলায় তার পুত্রবধু ফরিদার গর্ভের মধ্যেই বাচ্চা মারা যায়।
পরে গত ২৫ (জুন) শুক্রবার সিজার করে গর্ভের মৃত বাচ্চা প্রসব করানো হয়। তিনি আরও জানান, এতোদিন ওই হাসপাতালে (সুইজ) তার পুত্রবধু চিকিৎসাধীন থাকার কারনে বিষয়টি কাউকে জানানো হয়নি। তবে রোগীর স্বজনরা হাসপাতালের বিল পরিশোধ না করার জন্য মিথ্যা ঘটনা সাজিয়েছে বলে জানান হাসপাতালের ম্যানেজার মাসুদ হোসেন।
এবিষয়ে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাইয়্যেদ মো. আমরুল্লাহ জানান, সুইজ হাসপাতালের বিরুদ্ধে পূর্বেও অনেক অভিযোগ পাওয়া গেছে। শিশু মৃত্যুর বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
#চলনবিলের আলো / আপন