অমিত হাসান জেলা প্রতিনিধি:
গত ২৯/০৫/২০২০ই তারিখ সকাল ৬ ঘটিকার সময় মেয়ের বাবা মোঃ সাহেব আলী এর কাছে ফোন আসে, তাকে জানানো হয় যে আপনার মেয়ে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। মেয়ের বাবা উপায় না পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে তার জামাই বাড়ি চলে যায়। সেখানে গিয়ে দেখতে পায় যে তার মেয়ে মারা গেছে। সেখানে গিয়ে সে ছেলের বাবা এবং মায়ের কাছে জানতে চায় যে তার মেয়ে কিভাবে মারা গেছে সে সময়ে তারা বলে যে এমনিতেই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে তারপরে হাসপাতালে নেয়ার আগে সে সেখানেই মারা যায়।
মৃত মোসাঃ সারমিন আক্তার এর একটি মেয়ে রয়েছে তন্নি (৪) মেয়ের বাবা বলেন যে আমার মেয়েকে তার স্বামী মোঃ জুলহাস প্রায় সময় সারিরিক নির্যাতন করতো। আমি আমার মেয়ের শশুর মোঃ আব্দুর রব ও মেয়ের শাশুরি মোসাঃ মালেকা বেগম এর কাছে বিচার দেয়ার পরে তারা বলে যে সংসারে ছোটখাটো সমস্য হয়েই থাকে। তবে সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে। পরে মেয়ের বাবা এবং মেয়ের মামা মোঃ জসিম মিলে মনোহরগঞ্জ থানায় ছুটে যান, সেখানে গিয়ে তারা পুলিশকে অবহিত করার পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অন্তঃসত্ত্বা শারমিন আক্তার মৃতদেহ উদ্ধার করে। পুলিশ লাশটিকে ময়না তদন্ত করার জন্য দুপুর দুইটার দিকে থানায় নিয়ে আসে। মেয়ের বাবা এবং মামা মিলে তিন জনের নামে মামলা দায়ের করেন। এরপরে পুলিশ রাত নয়টার দিকে একটি মামলা রুজু করেন।
মেয়ের বাবা আরো বলেন যে, আমরা গরীব আমাদের পাসে কেহ নাই, আল্লাহ্ যেন আমাদের সঠিক বিচার পাইয়ে দেয়। আসামীরা হলেন, (১) মোঃ জুলহাস (মেয়ের স্বামী), (২) মোঃ আব্দুর রব (মেয়ের শশুর), (৩) মোসাঃ মালেকা বেগম।(মেয়ের শাশুরী), মেয়ের মামা মোহাম্মদ জসিম জানান যে আমরা বিভিন্ন সময়ে আমাদের মেয়ের উপর অমানুষিক নির্যাতন করতেন তার স্বামী এ বিষয় নিয়ে কয়েকবার কথার কাটাকাটি হয় মেয়ের জামাইয়ের সাথে। তিনি আরো জানান যে আমরা মাঝেমধ্যে খবর পেতাম যে তাকে শারীরিক নির্যাতন করে। এ বিষয়ে আমরা ছেলের মা এবং বাবার কাছে বলার পরে তারা বলছে যে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।
এর পরে মৃত সারমিনকে রামগঞ্জ উপজেলার ভোলাহাট তার বাবার বাড়িতে দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়। এ বিষয়ে মনোহরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান যে এ বিষয়ে থানায় একটি মামলা হয়েছে এবং আসামিদের কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন এ মামলার তদন্তের জন্য মেজবাহউদ্দিন কে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।