বাংলাদেশে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের পর্দা ওঠা নিয়ে শঙ্কা কাটেনি এখনও। এরই মধ্যে পাওয়া গেল আরেকটি দুঃসংবাদ। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়ার অপেক্ষায় থাকা টুর্নামেন্টটিতে খেলবে না ভুটান।
বৃহস্পতিবার ভার্চুয়ালি বৈঠক করেছেন সাফ দেশগুলোর সাধারণ সম্পাদক। সেই আলোচনায় টুর্নামেন্টে না খেলার বিষয়টি অবহিত করেছেন ভুটান প্রতিনিধি।
এ প্রসঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের (সাফ) সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল বলেছেন, ‘ভুটানের সাধারণ সম্পাদক আমাদের জানিয়েছেন যে, করোনা পরিস্থিতিতে তারা সরকারের কাছ থেকে দেশের বাইরে যাওয়া অনুমতি পাবে না। ফলে তাদের অংশগ্রহণ সম্ভব নয়।
সাফ শুরুর আগেই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেছে দুই দল।
ফিফার নিষেধাজ্ঞার কারণে অংশ নিতে পারছে না পাকিস্তান। দলসংখ্যা ৭ থেকে ৫-এ নেমে আসায় গ্রুপপর্বের পরিবর্তে লিগভিত্তিক সাফ আয়োজনের ইঙ্গিত দিয়েছেন হেলাল, ‘পাঁচ দল হলে তো লিগ আকারে আয়োজন করতে হবে। সে ক্ষেত্রে শীর্ষ দুই দল সরাসরি ফাইনালে খেলবে। জটিলতায় শেষ নয় এখানেই। করোনাকালে ভেন্যু ও স্পন্সর নিয়েও বিপাকে পড়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।
চলতি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) শেষ হলে শুরু হবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ। তাই ফুটবলের প্রধান মাঠ সাফের জন্য পাচ্ছে না বাফুফে।
এমতাবস্থায় টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে হবে সিলেট আর চট্টগ্রামের ভেন্যুতে। অন্যদিকে এখনও পৃষ্ঠপোষকও পায়নি দেশের ফুটবল ফেডারেশন। সাফের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, ‘আমরা বলেছি ১৫ দিনের মধ্যে স্পন্সর চূড়ান্ত করব। এর মধ্যে যদি অন্য কোনো দেশ যদি স্পন্সর পায় তাদেরটাও বিবেচনা করব।
মূলত গত বছরের সেপ্টেম্বরে শুরু হওয়ার কথা ছিল সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ১৩তম সংস্করণের খেলা। কিন্তু করোনার কারণে টুর্নামেন্ট পিছিয়ে যায় এক বছর। নতুন সূচি অনুযায়ী ১৪ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে ২৫ সেপ্টেম্বর সাফ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।