সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:২২ অপরাহ্ন

ই-পেপার

নাগরপুরে ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজের নিচ থেকে মাটি উত্তোলন, জনমনে আতংক

নাগরপুর(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধিঃ
আপডেট সময়: সোমবার, ২৮ জুন, ২০২১, ৬:১২ অপরাহ্ণ

টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নের খাষ ভূগোলহাট বাজার সংলগ্ন ২৫ মিটার ব্রীজটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ২০০১ সালে ১৪ লক্ষ ৪৯ হাজার ৮ শত ৩৮ টাকা ব্যয়ে ব্রীজটি নির্মাণ করা হয়। স্থানীয় কাজী মাও. মো. খলিলুল রহমান ওই ব্রীজের নিচ থেকে মাটি উত্তোলন করে নিজের বসত বাড়ী ভরাট করেন। মাটি উত্তোলনের ফলে এবারের বন্যায় ব্রীজটি ভেঙ্গে যেতে পাড়ে এমন আশংকা করছেন এলাকাবাসী ।

সরেজমিনে দেখা যায়, ইতি মধ্যে ব্রীজের দক্ষিন পাশের মাটি ধসে পড়ে চলাচলের অন-উপযোগী হয়ে যায়। স্থানীয়রা নিজ উদ্যোগে বস্তা ফেলে চলাচলের ব্যবস্থা করেন। ওই ব্রীজ দিয়ে প্রতিদিন শত শত গাড়ি ও দপ্তিয়র ইউনিয়ন সহ কয়েক গ্রামের মানুষ যাতায়েত করেন। ব্রীজের মাঝে পিলারে নিচের অংশের মাটি সরে গিয়েছে। বড় কোন গাড়ি পার হইতে গেলে ব্রীজটি কেঁপে উঠে। বাড়ি সংলগ্ন ব্রীজ হওয়ায় দপ্তিয়র ইউনিয়নের কাজী মো. খলিলুল রহমান প্রভাব খাটিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজের নিচ থেকে মাটি উত্তোলন করেন।

স্থানীয় জনগণ জানান, ব্রীজটি এমনিতেই খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। তার মধ্যে খলিল কাজী ব্রীজের নীচ থেকে মাটি উত্তোলন করায় এবারের বন্যায় ব্রীজটি ভেঙ্গে পড়ার আশংকা রয়েছে। এটি আমাদের একমাত্র চলাচলের মাধ্যম।
কাজী খলিলুর রহমান বলেন, বৃষ্টিতে আমার বাড়ীর মাটি ধসে যায় আমি সেই মাটি পূর্ণরায় উত্তোলন করি।
নাগরপুর উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মাইনুল হক বলেন, উপজেলা প্রকৌশলী অফিসার ও সহকারী অফিসার সহ ব্রীজটি পরিদর্শন করি এবং ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজ হিসেবে সদর দফতরে একটি প্রতিবেদন পাঠাই। সেই সাথে স্থানীয় ওই কাজী কে ব্রীজের নীচ থেকে মাটি না কাটার জন্য নিষেধ করি।

 

 

#চলনবিলের আলো / আপন

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর