মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৬ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

সিলেট-৩ আসনে উপনির্বাচন, তিন প্রার্থীর মধ্যে ভিন্ন লড়াই

অনলাইন ডেস্কঃ
আপডেট সময়: শুক্রবার, ২৫ জুন, ২০২১, ৯:৫৮ অপরাহ্ণ

সময় ঘনিয়ে আসছে সিলেট-৩ আসনে উপনির্বাচনের। তবে নির্বাচনের আগেই তিন প্রার্থীর মধ্যে শুরু হয়েছে ভিন্ন লড়াই! এ লড়াইটা শুরু করেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত হওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী শফি আহমদ চৌধুরী। পরে এতে যুক্ত হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব। এ দুই প্রার্থী জড়িয়ে পড়েন কথার লড়াইয়ে। আর জাপা প্রার্থী আতিকুর রহমান আতিক শুরু করেন একেবারে আইনি লড়াই। তিন প্রার্থীর এই অন্যরকম লড়াইয়ে প্রচারণা শুরু আগেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে সিলেট-৩ আসনের নির্বাচনি মাঠ।
প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও সাবেক এমপি শফি আহমদ চৌধুরী প্রার্থী হওয়ার ঘোষণার পরই এ আসনে জমজমাট লড়াইয়ের আভাস মেলে। এরপর শুরুতেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমানের সঙ্গে তার কথার লড়াই সেই আভাসকে আরও তুঙ্গে তুলে। আর হাবিবের প্রার্থিতার বৈধতা নিয়ে নির্বাচন কমিশনে আতিকের আপিল জানান দিচ্ছেন কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ।
কথার লড়াই শুরু করেন শফি চৌধুরী। সুদূর আমেরিকা থেকে দেশে ফিরে শফি আহমদ চৌধুরী বলেন, সিলেট-৩ আসনের প্রয়াত এমপি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর স্ত্রী ফারজানা সামাদের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। তিনি আমাকে সমর্থন দিয়েছেন। এমপি মাহমুদ উদ সামাদের মৃত্যুতে এ আসন শূন্য হওয়ায় উপনির্বাচন হচ্ছে। এতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন তার স্ত্রী ফারজানাসহ দলটির ২৫ জন নেতা।
এরপর মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আগের দিনের বক্তব্য আবারও উল্লেখ করে শফি বলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী নিয়ে দলের মধ্যেই অসন্তোষ রয়েছে। দলের নেতাকর্মীরা আশা করেছিলেন মানবিক দিক বিবেচনায় মাহমুদ উস সামাদের স্ত্রীকে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দেবে। কিন্তু আওয়ামী লীগ তার প্রতি সহানুভূতি না দেখানোর কারণে দলের নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ।
শফি চৌধুরীর এমন মন্তব্যে ক্ষুব্ধ হন আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব। সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন তিনি। এতে শফি চৌধুরীর মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে হাবিব বলেন, নির্বাচনি এলাকার তিন উপজেলার আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মী নৌকা প্রতীকের পক্ষে রয়েছেন। অন্য যারা মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন, তারাও তাকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। সবাইকে নিয়ে তিনি নির্বাচন করবেন। নৌকা প্রতীকের বাইরে কোনো নেতাকর্মী নেই দাবি করে হাবিব বলেন, শফি চৌধুরী বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছেন। তিনি বয়স্ক মানুষ। কোন সময় কী বলেন, কী করেন তার ঠিক নেই।
হাবিবের এমন মন্তব্য নজরে পড়েছে শফি চৌধুরীর। গত শুক্রবার এক ভিডিও বার্তায় এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার বয়স এখন ৮৪ বছর। আজকেও সারা দিন নির্বাচনি কাজে এলাকায় ছিলাম।
অন্যদিকে ওই দুই নেতার এই বাগযুদ্ধে উত্তাপের মধ্যেই ২০ জুন হাবিবের দ্বৈত নাগরিকত্ব চ্যালেঞ্জ করে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী আতিকুর রহমান। তার অভিযোগ, রিটার্নিং কর্মকর্তা একতরফা রায় দিয়েছেন, তাদের কথা শোনেননি। যে কারণে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন তিনি। বুধবার নির্বাচন কমিশন সেই অভিযোগের ওপর শুনানি করে। তবে অভিযোগের শুনানিতে রায় হাবিবের পক্ষে যায়। আগামী ২৮ জুলাই এ আসনে উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করে নির্বাচন কমিশন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর