জম্মেছি যুদ্ধের ম্যালা আগে, ছুটু থাকতি বাপ মাও মরি গেছে। এমন কথায় বলছিলেন রহিমা খাতুন, জীবন যুন্ধে ক্লান্ত, এক পরাজিত সৈনিক, শুধু দু বেলা দু মুঠো খাবার জন্যই এই সংগ্রাম।
বেঁচে থাকতে হয়তোবা কোন দিন এই যুদ্ধ শেষ হবে না। আর শেষ হবে ই বা কি করে, যুদ্ধ শেষ হলেই তো অন্ন জুটবে না মুখে। বলছিলাম ডিবি গ্রামের বাসিন্দা রহিমার কথা। বিয়ে হয়েছিলো ছোট বেলায়, বিয়ের ১৩ বছর পর স্বামী মারা যায়, এক ছেলে রেখে, তাকে খেয়ে না খেয়ে বড় করছিলাম। আমার কিছু নাই, তাই বিয়ে করে সেখানে চলে গেছে। তাই আমি একাই থাকি। রাত্রি যত গভীর হয়, প্রভাত তত নিকটে আসে। রোজ সকালে দুটাে চাউল আর পানি খেয়ে বের হতে হয় গ্রামে।
সমস্যা সেখানেও একটু সকালে গেলে বলে পরে আসো আবার দেরি হলে, সকালে আসতে পারো নাই। কি বা আর করা। তাই দেরি না করে নিদিষ্ট সময়ে চলে যায়, গ্রামের পথ পানে। বয়স বেশি হয়ে গেছে তাই আগের মতো আর বেশি বাড়ী ঘুরতে পারি না, রোজ ৩০ থেকে ৩৫ বাড়ী ঘুরলে ২০থেকে ২৫ বাড়ী পাওয়া যায়। তাই নিয়ে রওনা হই কোন বাজারের উদ্দেশ্য,বাজারে কাঁচা বাজার সংগ্রহ করতে করতে বিকাল হয়ে যায়। তার পর সন্ধায় ছোট্র ঘরে চলে যায়। এই আমাদের জীবনের গপ্ল।
কথা গুলো বলছিলো আর চোখ দিয়ে পানি ঝরছিলো বলছিলো, আর পারি না পায়ের ব্যাথায় হাটতে পারি না। কি করবো ভাগ্যে আল্লাহ যা লিখছে তা তো করতেই হবে। তার পরেও শেষ আশা জীবনের শেষ বেলায় একটু শস্তি, জানি সেটা কখনো পাবো না, হয়তো এই কষ্ট টুকো নিয়েই কবরে যেতে হবে।
সরকারের পাশা পাশি সমাজের যারা বিত্তবান রা আছে, তারা যদি একটু তাদের প্রতি সদয় হয় তাহলে, হয়তো কষ্ট কিছু না লাঘব হবে এমন টাই প্রত্যাশা তাদের।