যশোরের অভয়নগর উপজেলায় ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠা ( প্রাঃ) হাসপাতাল বিগত প্রায় পাঁচমাস পূর্বে জেলা সিভিল সার্জনের ঝটিকা অভিযানে মুষ্টিমেয় কয়েকটি (প্রাঃ) হাসপাতাল সিলগালা করে বন্ধ ঘোষণা দিয়েছিলেন কিন্তু বাকি সমালোচিত ক্লিনিক গুলো কেন যে বন্ধ হলোনা তা অভয়নগর বাসির মনে প্রশ্ন জেগেছে ৷ নওয়াপাড়ায় প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসার নামে চলছে রমরমা গলাকাটা বানিজ্য ৷ গ্রাম্য-হাতুড়ে ডাক্তার নামধারীরা এইসব হাসপাতালের মালিক সেজে বসে থাকে ৷ জানাগেছে , চিকিৎসা সেবার নামে গড়ে উঠা প্রাইভেট হাসপাতালের নিয়োজিত কিছু দালাল চক্র দুর-দুরান্ত থেকে আসা সহজ-সরল নিরীহ রোগীদের কাছ থেকে হাজার হাজার অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে ৷ হাসপাতাল গুলো চলছে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের মোটা অংকের মাসোহারা দিয়ে ৷ ফলে সাধারণ মানুষ অর্থ খরচ করেও উপযুক্ত চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ৷ এসব হাসপাতালের মালিকরা বছরে লক্ষ লক্ষ অর্থ বানিজ্য করে আসছে ৷ সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে , হাসপাতাল গুলোয় ১০ শয্যার অনুমতি থাকলে ও পাওয়া গেছে প্রায় ৩০ থেকে ৪০শয্যা বিশিষ্ট ৷ যা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ ৷ এসব(প্রাঃ)হাসপাতালে বিভিন্ন অনিয়ম,অব্যবস্থাপনা,অস্বাস্থ্যকর পরিবে-শের করুণ চিত্র ফুটে উঠেছে ৷ সপ্তাহে একদিন ডাক্তার সিরিয়াল দিয়ে একের পর এক কসাইয়ের মত রোগি অপারেশন করে চলে যায় ৷রোগিদের দেখাশোনা করে তথাকথিত সেবিকারা ৷ রোগির অবস্থা যখন মারাত্মক মৃৃৃৃত্যুর ঝুঁকিতে পড়ে তখন হাসপাতালের মালিকেরা রোগিকে যশোর,খুলনা অথবা রাজধানীতে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন ৷ ফলে রোগি হাসপাতাল ত্যাগ করলে পরবর্তীতে নানান জটিলতায় ভূগে মৃৃৃত্যুর মুখে পতিত হয় ৷ আরো অভিযোগ উঠেছে যে, অভয়নগরে শিশু বিশেষজ্ঞ কোন ডাক্তার নেই , অথচ নবজাতক শিশুর চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয় অনবিজ্ঞ ওয়ার্ড বয় ও সেবিকাদ্বারা ৷ অক্সিজেন লাগিয়ে তিন চারদিন পার করতে পারলেই তাদের বাণিজ্য ৷ পরবর্তীতে অক্সিজেন ও বেড ভাড়াবাবদ মোটা অংকের ভাউচার ধরিয়ে দেয় রোগির অভিভাবকের কাছে ৷ সেবা নিতে এসে প্রতারিত হচ্ছে অসহায় হত দরিদ্রসহ বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ ৷ এভাবে যাতে সাধারণ মানুষ সেবা নিতে এসে প্রতারিত না হয় তাই এ ব্যাপারে তদন্ত স্বাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য স্বাস্থ্য বিভাগের জেলা সিভিল সার্জনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন ভূক্তভোগী সাধারণ রোগিরা ৷
#চলনবিলের আলো / আপন