যুদ্ধবিরতি ভেঙে অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় দ্বিতীয় দফায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
ফিলিস্তিনি সূত্রের বরাতে আল-জাজিরা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার গাজা সিটির উত্তরপশ্চিম এবং বেইত লাহিয়ার উত্তরে বেশ কয়েকটি স্থাপনা লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরায়েলিরা।
কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যমটির খবর অনুসারে, জাবালিয়ার পূর্বাঞ্চলে একটি প্রশাসনিক ভবন এবং খান ইউনিস শহরের পূর্বে একটি কৃষি মাঠেও আক্রমণ চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। তবে এসব হামলায় কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে হামাসের মুখপাত্র ফউজি বারহৌম এক বিবৃতিতে বলেছেন, প্রতিরোধ যোদ্ধাদের জায়গা লক্ষ্য করে দখলদারদের এই বোমা হামলা নতুন ইসরায়েলি সরকারের একটি প্রদর্শনী কাণ্ড।
তিনি বলেন, আমাদের লোকজন ও পবিত্র স্থাপনাগুলো রক্ষায় প্রতিরোধ বাহিনী সতর্ক প্রহরায় থাকবে।
হামাস নিয়ন্ত্রিত আল-আকসা টিভি জানিয়েছে, গাজা সিটির পশ্চিমে একটি ইসরায়েলি ড্রোনকে ভূপাতিত করা হয়েছে।
এছাড়া, ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ভারী মেশিনগান দিয়ে গুলি চালানো হয়, যার জেরে সেখানে সতর্কতা সাইরেন বাজাতে হয়েছে।
এর আগে, ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলোর দাবি অনুসারে, গাজা উপত্যকা থেকে হামাসের ‘আগুনে বেলুন’ ছোড়ার জবাবে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী।
তাদের দাবি, বৃহস্পতিবার টানা তৃতীয় দিনের মতো আগুনে বেলুন উড়িয়েছে ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা। মূলত গাজা সীমান্তবর্তী এলাকায় ইসরায়েলের বিভিন্ন কৃষি জমি ও বনভূমিতে আগুন দেয়ার লক্ষ্যে এসব বেলুন ওড়ানো হয়।
এর জবাব দেয়ার দাবি করে গত বুধবারও ফিলিস্তিনে বিমান হামলা চালায় দখলদার বাহিনী।
গত মে মাসে অবরুদ্ধ উপত্যকায় ইসরায়েলিদের টানা ১১ দিন নির্বিচার হামলায় অন্তত ২৫৭ ফিলিস্তিনি নিহত হন, যাদের মধ্যে ৬৬ শিশুও রয়েছে। বিপরীতে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের পাল্টা হামলায় ইসরায়েলে বিদেশিসহ ১৩ জন প্রাণ হারান।