সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে বেড়েছে ডিম, সবজি , মুরগি ও চালের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, চাহিদা অনুযায়ী যোগান না থাকায় বেড়েছে ডিম ও সবজির দাম।
এছাড়াও চালের ভরা মৌসুমে সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে চালের দাম। চালের বাজার মনিটরিং না করলে দাম আরও বাড়তে পারে।
শনিবার (১২ জুন) সকালে রাজধানীর মিরপুর মুসলিম বাজার, মিরপুর ১১ নম্বর বাজার, কালশী বাজার ও পল্লবী এলাকা ঘুরে এমনটাই জানা যায়।
এসব বাজারে গত সপ্তাহে লাল ডিমের ডজন ছিল ৯৬ থেকে ১০০ টাকা। এখন দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১০৫ টাকা। হাঁসের ডিমের ডজনে ১০ টাকা দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা।
মিরপুর ১১ নম্বর বাজারের ডিম বিক্রেতা আমির হোসেন বলেন, চাহিদা অনুযায়ী ডিমের আমদানি কম। এই কারণেই ডিমের দাম বাড়তি যাচ্ছে। আমদানি বাড়লে আবার ডিমের দাম কমবে।
গত সাত দিনের ব্যবধানে প্রায় প্রতিটি কাঁচা পণ্যের কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা দাম বেড়েছে। সবজি বিক্রেতা মো. আলামিন বলেন, বৃষ্টি-বাদলে বাজারে সবজি নিয়মিত আসছে না। এ কারণেই বাজারে সবজির সরবরাহ কম। আমরা বিক্রেতারা বেশি দামে কিনছি বলেই বেশি দামে বিক্রি করছি। সবজির সরবরাহ বাড়লে কাঁচা পণ্যের দাম কমবে।
পল্লবী এলাকার ডিম ও চাল খুচরা বিক্রেতা ডেইলি মার্টের মালিক শাহাদাত হোসেন বলেন, সবজি ও মাছের দাম বেশি থাকলে সে সময়ে মানুষ বেশি ডিম খান। তখন চাহিদার সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে যায় ডিমের দাম। বাজারে সবজি, মাছ ও মাংসের দাম স্বাভাবিক হলে ডিমের দাম কমে আসবে।
চালের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে শাহাদাত বলেন, চালের ভরা মৌসুমে বস্তাপ্রতি দাম বেড়েছে ১০০ টাকা। কেজিতে বেড়েছে ২ থেকে ৩ টাকা।
বিয়ার ২৮ চালের দাম কেজিতে বেড়েছে দুই থেকে এক টাকা। দাম বেড়েছে মিনিকেট চালের। ৫০ কেজির বস্তায় দাম বেড়েছে ১০০ টাকা। সিন্ডিকেটের কারণে চালের মৌসুমে দাম বেড়েছে। সরকার যদি চালের বাজার মনিটরিং না করে তাহলে চালের দাম আরও বাড়বে।