গত এক দশকে এগিয়ে যাওয়া প্রথম দশটি দেশের একটি বাংলাদেশ বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। তথ্য বিশ্লেষণ করে সংস্থাটি জানায়, এই সময়ে বাংলাদেশের চেয়ে বেশি ভাল করেছে শুধু চীন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে। উন্নয়ন প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে ব্যাপক সংস্কারের পরামর্শও দিয়েছে সংস্থাটি।
প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক জানায়, ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ হতে ধারাবাহিক ৭ দশমিক ৮ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে হবে। এর কম হলে, ২০৪১ সালে উন্নত দেশ হওয়ার লক্ষ্য পূরণ সম্ভব নয়।
বিশ্বব্যাংকের চোখে গত গত এক দশকে এগিয়ে যাওয়া প্রথম দশটি দেশের একটি বাংলাদেশ। তথ্য বিশ্লেষণ করে সংস্থাটি জানায়, এই সময়ে বাংলাদেশের চেয়ে বেশি ভাল করেছে শুধু চীন। বিভিন্ন সময়ে সরকারের নেয়া সংস্কার কার্যক্রমের ফলে উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে বলেও জানায় সংস্থাটি।
বিশ্বব্যাংকের পর্যবেক্ষণ, বেশকিছু কারণে চলমান উন্নয়ন টেকসই নাও হতে পারে। এজন্য ব্যাপক সংস্কার কার্যক্রম হাতে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। গবেষকরা জানান, ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ হতে প্রতিবছর প্রবৃদ্ধি লাগবে ৭ দশমিক ৮ শতাংশ।
অর্থনীতিবিদরা বলেন, মানব সম্পদ উন্নয়নে স্বাস্থ্য ও শিক্ষায় বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। সক্ষমতা বাড়াতে হবে ব্যবসা বাণিজ্যের।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এবং প্যানেল আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন সানেমের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডক্টর সেলিম রায়হান এবং এসবিকে টেক ভেঞ্চারস ও এসবিকে ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সোনিয়া বশির কবির।
অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, জনগণের দোরগোড়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছে দেওয়া এবং শিক্ষার হার বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সঠিক পথে রয়েছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংক আমাদের যেসব প্রস্তাবনা দিয়েছে আমরা এই প্রস্তাবগুলো দেখবো; তারপর সেখান থেকে পদক্ষেপ গ্রহণের ব্যবস্থা নেবো।
মূল্যস্ফীতিকে ইস্যু করে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি না করতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।