এই অসময়ে যেনো তেনো ভাবে সিরাজগঞ্জের তাড়াশে কাবিটার (বিশেষ) সাড়ে তিন লাখ টাকা ব্যয়ের নামমাত্র রাস্তা মেরামত কাজের মাটির জন্য ব্রীজ ও রাস্তার ব্যাপক ক্ষতি করে ব্যক্তি মালিকানা জায়গায় পুকুর খনন করা হচ্ছে। এ কারণে দেখা দিয়েছে ব্যাপক জনদুর্ভোগসহ নানার প্রকার জটিল সমস্যা। যা নিয়ে ছবি ও ভিডিওসহ একের পর এক সংবাদ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সচিত্র প্রতিবেনও প্রচার হচ্ছে ব্যাপক ভাবে। কিন্তু এ গুলো দেখার কেউ নেই। ন্যাক্কার জনক এ ঘটনা ঘটছে তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের পংরৌহালী-বিরল এলাকার রাস্তায়। চলতি অর্থ বছরে নওগঁ বাজার হতে হামকুড়িয়া বাজার রাস্তার পংরৌহালী পাকার মাথা হতে বিরল আফাজ ফকিরের বাড়ির সামনের ব্রীজ পর্যন্ত মেরামতের জন্য কাবিটার সাড়ে তির লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এই অসময়ে প্রচলিত আইন অমান্য করে অপরিকল্পিত ভাবে নওগাঁ-হামকুড়িয়া বাজার রাস্তার পংরৌহালী পাকার মাথা হতে বিরল আফাজ ফকিরের বাড়ির সামনের ব্রীজ পর্যন্ত সরকারি ঐ সাড়ে তিন লাখ টাকা ব্যয়ে রাস্তা মেরামত কাজের মাটির জন্য ঐ রাস্তারই পাশেই বিরল এলাকায় একটি ব্রীজ নষ্ট করে তিন ফসলী জমিতে পুকুর খনন করা হচ্ছে। এতে ঐ রাস্তারও ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। আব্দুর রহিম নামক যে ব্যক্তি ঐ পুকুর খনন করছেন সেই আবার ঐ রাস্তার মেরামত কাজেরও দায়িত্বে আছেন। তিনি খনন করা তাঁর ঐ পুকুরের কাঁদা মাটি দিয়েই এই অসময়ে রাস্তাটির নামমাত্র মেরামত কাজ করছেন যেনো তেনো ভাবে অতিধীর গতিতে। এ দিকে ঐ রাস্তায় যেনো তেনো ভাবে কাঁদা মাটি ফেলানোর কারণে রাস্তাটি দিয়ে যান-বাহন চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে আছে এক মাস ধরে। এ কারণে এই করোনা কালে মুজিব নগর হিসেবে খ্যাত ঐ এলাকাবাসির আর্থিক অভাব-অনটন আরো ব্যাপক ভাবে বেড়ে গেছে ও জনদুর্ভো চরম আকার ধারন করেছে। ঐ এলাকার প্রায় ৮০ ভাগ মানুষ নৌকা মার্কায় ভোট দেয়। এ কারণে ঐ এলাকাকে অনেকেই মুজিব নগর বলেন। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় অথচ মুজিব নগর হিসেবে খ্যাত এলাকার মানুষ ভালো ভাবে চলাচল ও কোন কিছুই ঐ রাস্তা দিয়ে ভালো ভাবে পরিবহন করতে পারছেন না। এ নিয়ে এলাকায় চলছে নানা প্রকার আলোচনা-সমালোচনা। রাস্তা খারাপের কারণে ঐ এলাকার মানুষের চলাচল ও পরিবহন খরচ বেড়ে গেছে কয়েক গুণ বেশি। ঐ রাস্তা খারাপ হওয়ার কারণে বন্ধ হওয়ার পথে বিরল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যায় ও জলিল নগর হাই স্কুলের ভবন নির্মাণ কাজ এবং ঐ এলাকার অসংখ্য নানা প্রকার হ্যাচারী ও খামারও বন্ধের পথে। আটকে আছে মানুষের ভাগ্যেও চাকা। এমনকি অসংখ্য কৃষকসহ হ্যাচারী ও খামার মালিকগণও পড়ে গেছে মহাবিপাকে। তাঁরা পাচ্ছেন না পণ্যের ন্যায্য মূল্য। এ ছাড়াও ঐ রাস্তায় প্রায়ই ঘটছে ব্যাপক আকারে অঘটন। অপরদিকে গত অর্থ বছরেও ঐ রাস্তার বিরল থেকে হামকুড়িয়া পর্যন্ত রাস্তা মেরামতের নামেও প্রচলিত আইন অমান্য করে সরকারি লাখ লাখ টাকা ও রাস্তার শতাধিক গাছ কেটে হরিলুট করা হয়েছে প্রকাশ্যে। রাস্তা মেরামতে নামে এ সকল ন্যাক্কার জনক কাজ করে অনেকের ভাগ্যের উন্নয়ন হচ্ছে কিন্তু ঐ রাস্তার তেমন কোন উন্নয়নই হয়নি। এমনকি অপরিকল্পিত ভাবে অসময়ে বার বার রাস্তা মেরামত কাজ করার কারণে রাস্তার কোন কোন জায়গায় আরোও বেশি ক্ষতি হয়েছে। এ সকল ঘটনা গুলোর সাথে জড়িত আছেন প্রভাবশালী প্রতারক চক্র ও প্রশাসনের কিছু লোক। এ সকল কারণে জীবন যাত্রার মান ও আর্থি উন্নয়ন বাড়ছে না মুজিব নগর হিসেবে খ্যাত ঐ এলাকার মানুষের। এদিকে গত অর্থ বছরে ঐ রাস্তার মহেষরৌহালী এলাকার আক্কাচ মাষ্টরের বাড়ি হতে জলিল নগর হাই স্কুল পর্যন্ত রাস্তা মেরামতের নামে জালিয়াতি করে সরকারি দুই লাখ টাকাই আতœসাৎ করেছেন লোকাল জনপ্রতিনিধিরা। এ ঘটনা গুলো লোকাল এমপি,কমিশার রাজশাহী বিভাগ,জেলা প্রশাসক সিরাজগঞ্জ,ইউএনও ও পিআইও তাড়াশকে বার বার জানিয়েও কোন প্রতিকার হচ্ছে না। যা নিয়ে জনমনে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে অনেক দিন ধরে। তদন্ত করলে এ সকল ঘটনার সত্যতা মিলবে। এলাকাবাসির দাবী নওগঁ বাজার টু হামকুড়িয়া রাস্তা সঠিক ভাবে মেরামত ও পাকার কাজ করা এবং ঐ প্রতারক চক্রের যথাযথ শাস্তি হোক। নানান শ্রেণীর মানুষের সাথে কথা বলে ও বিভিন্ন সূত্রে এ সকল তথ্য জানা গেছে।
#চলনবিলের আলো / আপন