করোনার কারণে প্রায় দেড় বছর পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার। কিন্তু দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে নোংরা, অপরিস্কার ও গো-শালা তৈরি হওয়া বেহাল বিদ্যালয়গুলোকে এখনও প্রস্তুত করা হয়নি।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সরকারি স্কুলগুলো খোলার আগে প্লিপ প্রোগ্রামের মাধ্যমে প্রতি স্কুলের জন্য ৫০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ করা হলেও অধিকাংশ স্কুল এখনও কোনধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেননি। এ অবস্থায় জেলার এক হাজার ৫৯৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিস্থিতি অত্যান্ত বেহাল অবস্থায় রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার মাধ্যমিক ও প্রাথমিক স্কুলগুলোর মধ্যে কোনো কোনো স্কুল গরুর খামার হয়ে গেছে। স্কুলের ক্লাস রুমের মধ্যেই গরু-ছাগল বেঁধে লালন-পালন করা হচ্ছে। ফলে স্কুলের মেঝেতে শ্যাওলা পরে গেছে। কোনো কোনো স্কুলের মাঠ ব্যবহারে অনুপযোগী হয়ে পরেছে। এ বিষয়ে যেন কারো কোনো মাথাব্যথা নেই। মাধ্যমিক স্কুলের তুলনায় জেলার এক হাজার ৫৯৪ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবস্থা সবচেয়ে বেশি বেহাল।
বাকেরগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, করোনাকালীন সময় দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় উপজেলার ২৮০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেশিরভাগই বেহাল হয়ে পরেছে। তিনি আরও বলেন, উপজেলা এলজিইডি বিভাগের প্রকৌশলীর খামখেয়ালিপনায় স্কুলের ক্ষুদ্র মেরামতের টাকা না পাওয়ায় স্কুল খোলার আগে সংস্কার করা সম্ভব হচ্ছেনা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, স্কুল খোলার জন্য প্রতি স্কুলের জন্য সরকার বরাদ্দ রেখেছে। সরকারের পক্ষ থেকে দুবার চিঠি প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি স্কুলে সেনিটাইজার, সাবান ক্রয় করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি স্কুল কম্পাউন্ড পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে বলা হয়েছে।
#চলনবিলের আলো / আপন