হাসপাতালের জরুরী বিভাগে স্টাফ থাকা সত্বেও তাদের খবর দেওয়ার পরেও কেউ এগিয়ে আসেনি। ফলে প্রায় ২০ মিনিট হাসপাতালের গেটে ইজিবাইকের মধ্যে অপেক্ষার পর সেখানেই একটি পুত্র সন্তান জন্ম দিয়েছেন মুক্তা বেগম নামের এক প্রসূতি।
ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার দিবাগত রাত সোয়া নয়টার দিকে জেলার বানারীপাড়া উপজেলার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গেটের সামনে। উপজেলার সৈয়দকাঠি এলাকার বাসিন্দা মোঃ শান্ত ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, তার স্ত্রীর প্রসব বেদনা শুরুর পর নিজবাড়ি থেকে ইজিবাইকযোগে মুক্তা বেগমকে হাসপাতালে আনা হয়। এসময় জরুরি বিভাগের স্টাফদের গিয়ে তার স্ত্রীর সমস্যার কথা বলে সহযোগিতা চাওয়া হয়। তিনি আরও জানান, প্রায় বিশ মিনিট হাসপাতালের গেটে ইজিবাইকে তার স্ত্রীকে নিয়ে অপেক্ষা করলেও হাসপাতালের কেউ এগিয়ে আসেননি। ততক্ষণে প্রসূতি মুক্তার প্রসব বেদনা বহুগুনে বেড়ে যায়। উপায়অন্তুর না পেয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর কয়েকজন নারী স্বজনদের সহযোগিতায় ইজিবাইকে থাকা পলিথিন দিয়ে কোনমতে ঢেকে রাখার পর হাসপাতালের গেটেই মুক্তা বেগম একটি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহন করেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বানারীপাড়া হাসপাতালে প্রসূতি রোগী আসলেই দায়িত্বপ্রাপ্ত স্টাফ কিংবা নার্সরা কোন কিছু না দেখেই একবাক্যে বলে দেন-রোগীর পানি নেই কিংবা বাচ্চা উল্টে গেছে। বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে প্রসূতিকে সিজার করাতে হবে। ইতোমধ্যে রোগীর স্বজনদের এধরনের ভয়ভীতি দেখিয়ে পার্শ্ববর্তী ক্লিনিকে নেওয়ার সময় সড়কে প্রসূতিদের সন্তান প্রসব করার একাধিক ঘটনা ঘটেছে।
সার্বিক বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ মনোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে হাসপাতালের কারো দায়িত্ব অবহেলার কারনে গেটে সন্তান প্রসবের ঘটনা ঘটে থাকলে সে ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
#চলনবিলের আলো / আপন