সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৫২ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

শিরোনাম :
শিরোনাম :
কক্সবাজার সদর উপজেলা জাসাস এর পরিচিতি সভা, জাসাস বিএনপি গোলাপ ফুল বললেন প্রধান অতিথি বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরামের নির্বাহী মহাসচিব নির্বাচিত হলেন আনোয়ার হোসেন মানিকগঞ্জ ১ আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীর মোটরসাইকেল শোডাউন নাটোর ইমার্জিং কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন নাটোর রেড টিম আটোয়ারীতে ‘মানিকপীর সোনালী কিন্ডার গার্টেন’-এর কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তি ও সনদ বিতরণ আলীকদমে মাতামুুহুরী নদীতে পড়ে বৃদ্ধের মৃত্যু ভৈরব নদীতে নৌকা বাইচে উৎসবের জোয়ার, দর্শনার্থীর ঢল সাপাহারে ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স জনবীমী’র পিঠা ও আনন্দ উৎসব 

বরিশালের সব খেয়াঘাটে চলছে জুলুম “২০ টাকার ভাড়া ২০০ টাকা” প্রতিবাদ করলে হতে হয় লাঞ্ছিত

রুবিনা আজাদ,আঞ্চলিক প্রতিনিধি,বরিশাল:
আপডেট সময়: সোমবার, ২৪ মে, ২০২১, ৬:৪৪ অপরাহ্ণ

করোনা দুর্যোগে চলমান লকডাউনকে পূঁজি করে জেলার প্রায় প্রতিটি খেয়াঘাটে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিটি খেয়াঘাটে যাত্রীদের কাছ থেকে একপ্রকার জুলুম করে ২০ টাকার ভাড়া ২০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হচ্ছে।

ঘাটের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের এ জুলুমের প্রতিবাদ করলে যাত্রীদের হতে হয় শারিরিকভাবে লাঞ্ছিত। ফলে নিরবেই মুখ বুঝে সহ্য করে যাচ্ছেন ভূক্তভোগিরা। স্থানীয়রা সঠিক তদন্তের মাধ্যমে ঘাট ইজারাদার ও জুলুমের জন্য নিয়োগকৃত ভাড়াটিয়াদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার মুলাদী উপজেলার সাথে শরিয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার যোগযোগের একমাত্র মাধ্যম মুলাদীর মৃধারহাট খেয়াঘাট। এ ঘাট দিয়ে প্রতিদিন সহ¯্রাধীক যাত্রী ট্রলারযোগে নদী পারাপার হচ্ছেন।

রুমা বেগম, আজিজুল ইসলামসহ একাধিক যাত্রীরা অভিযোগ করেন, করোনার কারণে চলমান কঠোর লকডাউনকে পুঁজি করে মৃধারহাট খেয়া ঘাটের দায়িত্বে থাকা মুরাদ খান ও রুস্তুম সরদার জোরপূর্বক পূর্বের ২০ টাকার ভাড়ারস্থলে প্রতিজন যাত্রীর কাছ থেকে ২০০ টাকা করে আদায় করছেন। তারা আরও বলেন, ট্রলারে নদী পারাপারের সময় মানা হচ্ছেনা কোন স্বাস্থ্যবিধি। সরকারি নির্দেশ অমান্য করে ঘাটের দায়িত্বপ্রাপ্তরা গাদাগাদি করে যাত্রী ভর্তির পর ট্রলারগুলোকে ঘাট ছাড়তে বাধ্য করছেন।

তারা আরও জানান, জোরপূর্বক অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের মাধ্যমে উল্লেখিতরা প্রতিদিন লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। তাদের প্রতিবাদ করতে গেলে যাত্রীদের শারিরিকভাবে লাঞ্ছিত হতে হয়। ভূক্তভোগিরা সঠিক তদন্তের মাধ্যমে উল্লেখিতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। ঘাটের দায়িত্বে থাকা মুরাদ খান ও রুস্তম সরদার অভিযোগ অস্বীকার করে সাংবাদিকদের জানান, করোনার কারণে কমসংখ্যক লোকজন নদী পারাপার হচ্ছেন, তাই তাদের চরম আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। সেক্ষেত্রে জরুরি প্রয়োজনে কেউ অতিরিক্ত টাকা দিয়ে পারাপার হলে সেখানে দোষের কিছু নেই।

সূত্রমতে, নগরীর সবচেয়ে কাছের কীর্তনখোলা নদীর চরকাউয়া খেয়াঘাটে বিশেষ করে সন্ধ্যার পর থেকে জনপ্রতি দুই টাকার ভাড়ার পরিবর্তে ৩০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। নগরীর কাছের আরেকটি খেয়াঘাট চাঁদমারী। এই রুটে চলাচল করা ট্রলারে প্রতিদিন সাধারণ জনগনের সাথে জুলুম করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করার অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগি যাত্রীরা।

মাত্র পাঁচ টাকার খেয়া ভাড়া রাতারাতি একশ’ টাকা নির্ধারন করে জমজমাট খেয়া বাণিজ্য করার অভিযোগ উঠেছে বরিশালের গোমা ফেরীঘাটের খেয়া ইজারাদারের বিরুদ্ধে। ভূক্তভোগী যাত্রী মতিউর রহমান জানান, আগের পাঁচ টাকার খেয়া ভাড়ারস্থলে বর্তমানে জনপ্রতি ১০০ টাকা করে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও জানান, একজন যাত্রী সর্বসাকুল্যে ৪০ টাকা ভাড়া দেওয়ায় তাকে খেয়া ট্রলারে পারাপার করা হয়নি।

বরিশালে জুলুমবাজদের আরেক স্বর্গরাজ্য বরিশাল-মুলাদী রুটের মীরগঞ্জ ফেরীঘাটের খেয়া পারাপার। জনপ্রতি সাত টাকার খেয়া ভাড়ারস্থলে দিনে ক্ষেত্র বিশেষ ১০ থেকে ২০ টাকা করে আদায় করা হলেও রাতে তিনশ’ টাকার কমে ট্রলার ছাড়া হয়না বলে ভূক্তভোগিরা অভিযোগ করেন। আগে ওই খেয়াঘাটে একটি মোটরসাইকেল পারাপারে ২০ টাকা ভাড়া থাকলেও বর্তমানে ৫০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে।

মুলাদী-হোসনাবাদ রুটের সাহেবেরচর খেয়াঘাটে পূর্বে পাঁচ টাকার ভাড়ারস্থলে বর্তমানে ৫০ থেকে ১০০ টাকা করে আদায় করছেন ইজারাদার। খেয়াঘাটে টোল আদায়ের তালিকা টানানোর নিয়ম থাকলেও বরিশালের কোন খেয়াঘাটেই এ নিয়মকে মানা হচ্ছেনা। দীর্ঘদিন থেকে খেয়াঘাটে যাত্রী জিম্মি করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়টি দেখার যেন কেউ নেই।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোঃ জসীম উদ্দীন হায়াদার বলেন, করোনা সংক্রমন ঠেকাতে লকডাউনকে পুঁজি করে খেয়া নৌকা বা ট্রলারে ¯^াস্থ্যবিধি অমান্য কিংবা যাত্রীদের জিম্মি করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা। খুব শীঘ্রই ঝটিকা মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অভিযুক্ত ইজারাদারদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

#আপন_ইসলাম


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর