পরিবারের আয় উপার্জনের এক মাত্র উৎসটার আর কিছুই বাকি থাকলো না। চোখের সামনেই নিমেষেই ভুস্মিভুত হয়ে গেল জীবিকার শেষ সম্বল টুকু। জলন্ত অগ্নিশিখার মতো রিদয় বিদারক বুকফাটা কান্নায় মুহুর্তেই ভারি হয়ে উঠলো পরিবেশ। এ ক্ষতি কবে পুষিয়ে ওঠা সম্ভব হবে, আদেও কি পুষিয়ে ওঠা যাবে? এই ভেবেই জলন্ত অগ্নিশিখার দিকে তাকিয়ে থাকে এই ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ী মানুষগুলো। বলছি গত রাতের যশোর হকার মার্কেট ট্রাজেডির কথা। যশোর সদরের জেলা পরিষদের পাশে টাউনহল মাঠে কাপড় বয়াবসায়ী হকার মার্কেটে গতকাল বুধবার রাত ১১ টার দিকে এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
গ্রামের কাগজের সিনিয়র সাংবাদিক এবং নির্বাহী সম্পাদক বাসায় ফেরার সময় তাদের চোখেই সর্বপ্রথম অগ্নিশিখার দেখা পড়ে। এরপর ৯৯৯(ত্রিপল ৯) এ কল করে ফায়ার সার্ভিসকে অবগত করতে না করতে আগুন লেগে যায় ৪ টি কাপড়ের দোকানে। পর পরই ছুটে আসে কোতোয়ালি থানা পুলিশ,প্রশাসন,স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা। বয়াবসায়ীদের পরিবারের শোকে এবং আতঙ্কে ভারী হয়ে ওঠে চারপাশ। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে আসার আগেই ৪ টি দোকান পুরোপুরি ভাবে ধ্বংস হয়ে যায়। তারপরও আগুনের সুত্রপাত ঘটতে ঘটতে প্রায় ১৫ থেকে ২০ টি দোকান অগুন ধরে যায়। ফায়ার সার্ভিসের ৪ টি ইউনিট প্রায় ২ ঘন্টা অভিযান পরিচালনা করলে রাত ১ টার দিক আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। অগ্নিকান্ডে যে সকল দোকাপাট পুড়ে গেছে তা সবকয়টিই কাপড় ব্যাবসায়ীদের। বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারনে এই অগ্নিকান্ড ঘটতে পারে এরাকম দাবী করছেন বয়াবসায়ীরা। সামনে ঈদ কে কেন্দ্র করে লক্ষ লক্ষ টাকার মালমাল উঠিয়েছিলো দোকানে এই ব্যাবসায়ীরা। তবে এই অগ্নিকান্ডে তার কিছুই বাকি থাকেনি।
আশা ছিলো লকডাউনে বয়াবসায়ীদের সাময়িক ক্ষতি পুষিয়ে উঠবে ঈদের কয়েকদিন দোকানে বেচাকেনা করে। কিন্তু ক্ষতি পুষিয়ে ওঠার বিপরীতে চোখের সামনে আরও ক্ষতি হয়ে যেতে দেখলো এই ব্যাবসায়ীরা। এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১৫ থেকে ২০ টি দোকানে প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্থ বয়াবসায়ীদের দাবী। কি পরিমান ক্ষতি হয়েছে আর কিভাবে আগুনের সুত্রপাত ঘটে তা তদন্ত করার আগে বলা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।
#CBALO/আপন ইসলাম