মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি জসীম উদ্দিনের বিরুদ্ধে ১৯ এপ্রিল সোমবার রাতে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে এক তরুনী। ২১ এপ্রিল বুধবার বিষয়টি বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হলে ওই দিনই রাতে ওই তরুণীর অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করেছেন এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এয়ারপোর্ট থানার ওসি কমলেশ চন্দ্র হালদার মুঠোফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সোমবার (১৯ এপ্রিল) রাতে ওই তরুণী লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ২১ এপ্রিল বুধবার রাতে ওই তরুণীর অভিযোগটি মামলা হিসাবে রুজু করা হয়েছে। এজাহার মামলার পরবর্তী কার্যক্রম আইন অনুসারে চলবে। অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
অভিযোগে ওই যুবতী উল্লেখ করেন, দীর্ঘ আট বছর ধরে মামলার একমাত্র আসামি নগরীর সাগরদী এলাকার বাসিন্দা জসিম উদ্দিন জসিমের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিলো। এ সম্পর্ক থাকাকালীন সময়ে বিভিন্ন সময়ে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেয় অভিযুক্ত জসীম। কিন্তু এতে যুবতী রাজি না হওয়ায় বিয়ের প্রলোভনে ২০১৯ সালের ১০ সেপ্টেম্বর জসীম নগরীর ২৯নম্বর ওয়ার্ডে তরুণীর বাসায় বসে তাকে ধর্ষণ করে। এতে তিনি গর্ভবতী হয়ে পরলে জসীম তাকে গর্ভপাতের ঔষুধ সেবন করায়। এতে ভিকটিম অসুস্থ হয়ে পরলে বরিশাল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ডা. তানিয়া আফরোজের মাধ্যমে চিকিৎসা ও গর্ভপাত করানো হয়। পরবর্তীতে ঢাকা, বরিশালের বিভিন্ন হোটেল ও রেস্তোরাঁয় দেখা করার সময় বিয়ের প্রলোভন দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। সর্বশেষ ২০২১ সালের ৫ মার্চ রাত সাড়ে ১১টায় তরুণীর বাসায় গিয়ে সারারাত এক সঙ্গে থাকেন জসিম উদ্দিন। এ সময় তরুণীকে তিনবার ধর্ষণ করেন । এরপর ওই যুবতী বিয়ের জন্য চাঁপ প্রয়োগ করলে জসীম জানায় সে বিবাহিত তাই ওই যুবতীকে বিয়ে করা সম্ভব নয়। ১৯ এপ্রিল রাতে অভিযোগকারী যুবতী এয়ারপোট থানায় মামলা দায়েরের জন্য লিখিত আবেদন করেন। ২১ এপ্রিল বুধবার রাতে ওই তরুণীর অভিযোগটি মামলা হিসাবে রুজুকরা হয়েছে।
স্থানীয়ভাবে জানা গেছে, ওই তরুণী এপ্রিল মাসের শুরুর দিকে নগরীর সাগরদিতে জসিম উদ্দিনের বাসায় গিয়ে বিয়ের দাবিতে হট্টগোল করেন। এর কিছুদিন পরে জানতে পারেন, জসিম উদ্দিন তাকে বাদ দিয়ে অন্য এক মেয়ের সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন।
অভিযুক্ত মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন দাবি করেছেন, ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তাকে ফাঁসানো হয়েছে।
#CBALO/আপন ইসলাম