সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার আমডাঙ্গা-সড়াতৈল উচ্চ বিদ্যালয়েরর অচল কাঁচা সড়কটি স্বেচ্ছাশ্রমে সংস্কার করে সচল করেছে সড়াতৈল গ্রামবাসী। সড়াতৈল গ্রামবাসীর উল্লাপাড়া উপজেলা সদর, হাটিকুমরুল গোলচত্বরসহ জাতীয় মহাসড়কে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা এইটি। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে এই রাস্তাটি এখন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দুভোর্গ পোহাচ্ছেন স্থানীয় লোকজন। সড়াতৈল গ্রামের বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম, সমাজ সেবক মাহমুদুল হাসান বাবলা, রাঙ্গা তালুকদার অভিযোগসহ অনেকেই জানান, আমডাঙ্গা-সড়াতৈল উচ্চ বিদ্যালয় রাস্তাটির সংস্কার ও পাকাকরণের জন্য দীর্ঘদিন ধরে বড়হর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান,মেম্বরের কাছে আবেদন, নিবেদন করে আসছেন। মাঝে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে একবার নামকাওয়াস্তে রাস্তাটি সংস্কার করা হলেও তা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। বর্ষা বৃষ্টিতে ধুয়ে মুছে গেছে রাস্তার মাটি। ফলে রাস্তার মাঝে মাঝে সৃষ্টি হয়েছে ছোট বড় অনেক গর্ত আর খানাখন্দ। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে এই রাস্তায় একহাঁটু কাঁদা জমে যায়। পানিতে পূর্ণ হয়ে কাঁদায় গর্তগুলো বোঝা যায় না। ফলে স্কুলের শিক্ষার্থী সহ গ্রামের লোকজন যাতায়াত করতে গিয়ে অনেকেই নাজেহাল হয়েছেন। স্কুল পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীদের এই পথে চলতে গিয়ে বর্ষা মৌসুমে গর্তে পড়ে বই খাতা ও পোশাক নস্ট হয়ে গিয়েছে। ফিরে যেতে হয় তাদের বাড়িতে। কোন যানবাহনও চলাচল করতে পারেনা এই অচল রাস্তায়। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানকে অবহিত করলেও তিনি কোন কার্যকর ব্যবস্থা নেননি বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন। ফলে গ্রামের লোকজন নিজেরা বৈঠক করে স্বেচ্ছাশ্রমে এই রাস্তাটি সংস্কারের উদ্যোগ নেন। তারা ১৫/২০ জন করে পালাক্রমে ১ সপ্তাহ ধরে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে রাস্তার কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এক সপ্তাহ ধরে শুরু হয়েছে এই সংস্কার কাজ। এ ব্যাপারে বড়হর ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম নান্নুর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি ওই রাস্তাটির খারাপ অবস্থার কথা স্বীকার করে বলেন, এর আগে ইউনিয়ন পরিষদ তহবিল থেকে রাস্তাটি একাধিকবার সংস্কার করা হয়েছিল। কিন্তু বন্যা ও বৃষ্টির কারণে রাস্তাটির মাটি ধরে রাখা সম্ভব হয়না। তবে জনগনের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘবে তিনি এই রাস্তাটি এবার পাকা করবেন বলে আশ্বস্ত করেন।
#CBALO/আপন ইসলাম