রোগীকে চারদিন আটকে রেখে মৃত্যুর দিকে ধাবিত করাসহ হাসপাতালের বিভিন্ন অনিয়মের বিস্তর অভিযোগ তুলে জেলার গৌরনদী উপজেলার বেসরকারি সুইজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য মন্ত্রীর বরাবরে আবেদন করেছেন এক ভুক্তভোগি পরিবার।
বুধবার সকালে অভিযোগকারী শারমিন আক্তার সুমি ও সুমন হাওলাদার জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অপচিকিৎসায় তাদের মায়ের মৃত্যু হয়েছে। এজন্য তারা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার জাজিরা গ্রামের শারমিন আক্তার সুমি ও সুমন হাওলাদার নামের দুই ভাই-বোনের যৌথ স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, তাদের মা সানোয়ারা বেগমের (৫০) পেটে ব্যাথা শুরু হলে গতবছরের ১৭ অক্টোবর বেজগাতী সুইজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের মায়ের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরিক্ষা ও আল্ট্রাসনোগ্রাম করে জানান, একুইট এপেন্ডিসাইট হয়েছে। এজন্য রোগীকে দ্রুত অপারেশন করতে হবে।
পরবর্তীতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীর স্বজনদের জানান, অপারেশনের জন্য একটি মেডিকেল বোর্ড গঠণ করা হয়েছে। বোর্ডের সিদ্ধান্ত মতে অপারেশন করা হবে। এভাবে নানাতালবাহান করে চারদিন অতিবাহিত করার পর রোগী আরও বেশি অসুস্থ্য হয়ে পরলে সুইজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অন্য হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। পরে সুইজ হাসপাতাল থেকে সানোয়ারা বেগমকে অন্য হাসপাতালে নেয়ার পথে সে (সানোয়ারা) মৃত্যুকোলের ঢলে পরেন।
লিখিত অভিযোগে আরও জানা গেছে, রোগী সানোয়ারা বেগমকে চারদিন পর্যন্ত আটকে রেখে ভুল চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ফলে রোগী মৃত্যুর দিকে ধাবিত হয়েছে। এমনকি মেডিকেল বোর্ডের কথা বলা হলেও কোন বোর্ড গঠণ করা হয়নি। অভিযোগে তারা আরও উল্লেখ করা হয়, রোগী সানোয়ারা বেগম একজন ডায়াবেটিকস ও প্রেসারের রোগী ছিলেন। সুইজ হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকে সবুজ কুমার পাত্র নামের একজন ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র মতে তার (সানোয়ারা) চিকিৎসা দেয়া হয়। কিন্তু ওই চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্রে রোগীর প্রেসার, ডায়াবেটিকস ও পালস রেট কিছুই উল্লেখ করা হয়নি।
এ ব্যাপারে সুইজ হাসপাতালের পরিচালক রুপা খাতুন জানান, ভুল চিকিৎসার অভিযোগটি সম্পূর্ন মিথ্যে ও ভিত্তিহীন। একটি মহল হাসপাতালের সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য অপপ্রচার চালাচ্ছেন।
#CBALO/আপন ইসলাম