সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:২৫ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

শিরোনাম :
শিরোনাম :
কক্সবাজার সদর উপজেলা জাসাস এর পরিচিতি সভা, জাসাস বিএনপি গোলাপ ফুল বললেন প্রধান অতিথি বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরামের নির্বাহী মহাসচিব নির্বাচিত হলেন আনোয়ার হোসেন মানিকগঞ্জ ১ আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীর মোটরসাইকেল শোডাউন নাটোর ইমার্জিং কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন নাটোর রেড টিম আটোয়ারীতে ‘মানিকপীর সোনালী কিন্ডার গার্টেন’-এর কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তি ও সনদ বিতরণ আলীকদমে মাতামুুহুরী নদীতে পড়ে বৃদ্ধের মৃত্যু ভৈরব নদীতে নৌকা বাইচে উৎসবের জোয়ার, দর্শনার্থীর ঢল সাপাহারে ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স জনবীমী’র পিঠা ও আনন্দ উৎসব 

নাগরপুরে অবৈধ ট্রলিতে অতিষ্ঠ জনজীবন

নিজস্ব প্রতিনিধি টাঙ্গাইল:
আপডেট সময়: বুধবার, ৩১ মার্চ, ২০২১, ৫:৩৯ অপরাহ্ণ

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে দৈত্যাকৃতির দানব গাড়ির উৎপাতে অতিষ্ট জনসাধারন। নাগরপুর উপজেলায় অবৈধ ভাবে দাপিয়ে চলছে এই অবৈধ ট্রলি। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন মাঝে মধ্যে সকল যানবাহনের কাগজপত্র নিরীক্ষার উদ্যোগ নিলেও অবৈধ ভাবে পরিচালিত ট্রলি ট্রাক্টর নামের যানবাহনটি বন্ধে কোন বাস্তব পদক্ষেপ নেই। দৈত্যাকার এ ট্রলি ট্রাক্টর কেড়ে নিচ্ছে নিরহ পথচারি সহ অনেকের প্রাণ।

কৃষি কাজে ব্যবহার উপযোগী করে তৈরি এই যন্ত্রটি ব্যবহার হচ্ছে মাটি পরিবহনে। একদিকে দুর্ঘটনার কবলে ঠেলে দিচ্ছে জনসাধারনকে অন্যদিকে গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য তৈরী করা সড়ক ব্যবস্থাকে সল্পতম সময়ের মধ্যে ধ্বংস করে দিচ্ছে।

সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা যায়, ট্রলি নামে স্থানীয় ভাবে পরিচিত এইসব যন্ত্র মূলত চাষাবাদের কাজে ব্যবহার উপযোগী করে তৈরি। চাষাবাদের মাঠে চলাচলের এই যন্ত্রটিকে একশ্রেনির মুনাফা লোভী লোক অতিরিক্ত চাকা ও ট্রলি সংযোজন করে ট্রাক হিসেবে ব্যবহার করছে। সড়কে চলাচলের কোন বৈধতা না থাকলেও অদৃশ্য কারনে অবাধে চলাচল করছে দৈত্যাকৃতির ওই যানটি।

একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, নাগরপুর উপজেলায় অন্তত ৩৫০ থেকে ৪০০টি এমন যান রয়েছে। ৬ চাকা বিশিষ্ট দৈত্যাকৃতির যানটির চালকের কোন ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি না থাকলেও মুনাফা লোভীদের ছত্রছায়ায় সকল সড়কে ফ্রি-স্টাইলে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। সেই সাথে অপ্রাপ্ত বয়স্ক চালক দ্বারা চালানোর কারনে ঘটছে প্রতিনিয়ত সড়ক দূর্ঘটনা।

জনসাধারন আক্ষেপ করে জানান “ওই দানব আকৃতির যান রাস্তায় চলাচলের সময় রাস্তা কাঁপতে থাকে। পাকা রাস্তার বেহাল দশা করেছে এই দৈত্যাকৃতির ট্রলি। শিঘ্রই এই দৈত্যাকৃতির যান সড়কে চলাচল নিষিদ্ধ না করলে সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত গ্রামীণ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বিধ্বস্ত হয়ে পড়বে”। এই যানের চাকায় পিস্ট হয়ে এবছর প্রায় ৫ জনের প্রাণহানির ঘটনা সহ বহু লোক পুঙ্গুত বরণ করেছে। তাই জনসাধারনের দাবী পাকা ও কাঁচা রাস্তা বাঁচাতে চাইলে মাহিন্দ্র ট্রাক্টর আমদানি নিষিদ্ধ করা হউক। যদি তা সম্ভব না হয় তাহলে অন্তত মাটি খেকোদের ব্যবসায়িক কাজে এই যান ব্যবহার বন্ধ করা হোক”।

এ বিষয়ে নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত-ই-জাহান জানান, আইন শৃখলা মিটিংএ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে সকাল ৮টা হতে সন্ধা ৬টা পর্যন্ত কোন ট্রলি চলতে পারবে না। বালু পরিবহনের সময় ত্রিপল বা পর্দা ব্যবহার করতে হবে এবং হাইওয়ে সহ অন্যান্য রাস্তায় গতিসীমা সর্বোচ্চ ৪০ এর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে হবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে আইনগত ব্যস্থা নেয়া হবে।

 

#CBALO/আপন ইসলাম


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর