শুভ কুমার ঘোষ, সিরাজগঞ্জ:
হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে একজন খামারির দুটি খামারের প্রায় চার শতাধিক ব্রয়লার মুরগি মারা যাওয়ায় একমাত্র সহায় সম্বল এই মুরগিগুলোকে হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন মোঃ আল মাহমুদ নামের তাড়াশের একজন মুরগি খামারি। হঠাৎ করেই রাণীক্ষেত নামক এক রোগের আক্রমণে ২৭ দিন বয়সী এই মুরগি গুলো মারা যায় বলে জানান তিনি। বুধবার (৩ জুন) সকালে সরেজমিনে গিয়ে তাড়াশ উপজেলার জাহাঙ্গীর গাতী গ্রামের মোঃ মজিবর মুন্সির ছেলে মোঃ আল মাহমুদ নামক খামারির বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় তার দুটো খামারই শূন্য পড়ে আছে।
তিনি এই প্রতিবেদককে তার শূন্য খামার দুটি দেখিয়ে বলেন, মাত্র কয়েকদিন আগেও আমার স্বপ্নগুলো এখানে বড় হচ্ছিল। মাঠে কোন জমি জমা না থাকায় এবং মুরগিগুলো মারা যাওয়ায এই বাড়িই এখন আমার একমাত্র সম্বল উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমার স্বপ্ন এবং সহায় সম্বল বলতে ওই মুরগি গুলোই ছিল। এই চার শতাধিক মুরগি মারা যাওয়ায় আমার প্রায় দুই লাখ টাকারও অধিক ক্ষতি হয়েছে বলেও জানান তিনি। কোন জমি জমা না থাকা এবং অন্য কোন আয়ের ব্যবস্থা না থাকার কারণে তার জীবিকা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন তিনি।
মুরগি গুলো মারা যাওয়ার কারণ হিসেবে তিনি রাণীক্ষেত নামক এক প্রকার রোগের কথা বলেন। এছাড়াও এমত অবস্থায় যদি সরকারি কোন ক্ষুদ্র ঋণের ব্যবস্থা হতো অথবা কৃষিঋণ পেতেন তাহলে তিনি আবারও ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করতেন বলেও এই প্রতিবেদককে জানান তিনি। এ বিষয়ে তাড়াশ উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ এ.জে.এম সালাউদ্দিন এর সঙ্গে কথা বলার জন্য একাধিকবার তার মোবাইল ফোনে (০১৭১৫৩৭৪৭৭৩) কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।