মিয়ানমারের রাজপথে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে গণতন্ত্রকামীদের মৃত্যু দৈনন্দিন ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত দুই দিনেও বিভিন্ন শহরে অন্তত ২৫ বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের ওপর জান্তা সরকারের দমন-পীড়নের ঘটনায় আবারও উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে জান্তা সরকারের হাত থেকে রক্ষা পেতে মিয়ানমারের কয়েক শ নাগরিক পাশের দেশ ভারতে আশ্রয় নিয়েছে।
জান্তা সরকারের পতন ঘটাতে এবং সু চিসহ শীর্ষস্থানীয় নেতাদের মুক্তির দাবিতে প্রায় দেড় মাস ধরে আন্দোলন চলছে মিয়ানমারের রাজপথে। আন্দোলন দমাতে গুলি ছুড়তেও পিছপা হচ্ছে না জান্তা সরকার। জাতিসংঘের হিসাবে, নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে এ পর্যন্ত দেড় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রায় দুই হাজার ব্যক্তিকে। এ ছাড়া নতুন করে সামরিক আইন জারি হওয়া শহরের বাসিন্দারা অন্যত্র গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছে। দেশ ছাড়ার ঘটনাও ঘটছে।
ভারতের মিজোরাম অঙ্গরাজ্যের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গত দুই সপ্তাহে মিয়ানমারের চার শতাধিক নাগরিক সীমান্ত পার হয়ে তাঁদের দেশে প্রবেশ করেছে। তাদের মধ্যে পুলিশের অনেক সদস্য রয়েছেন। এসব পুলিশ সদস্য জানিয়েছেন, বিক্ষোভকারীদের গুলি করতে জান্তা সরকারের নির্দেশ তাঁরা মানেননি। এ কারণে নির্যাতিত হওয়ার আশঙ্কায় তাঁরা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। মিজোরামের ওই কর্মকর্তা আরো জানান, গত শুক্রবার মিয়ানমার থেকে ১১৬ জন ভারতে প্রবেশ করেছে।
মিয়ানমারের নাগরিকদের প্রবেশ ঠেকাতে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু দুই দেশের সীমান্তের বেশির ভাগ এলাকাই পাহাড়ি ও দুর্গম। এ ছাড়া সীমান্তের দুই পাশের বাসিন্দারা জাতিগত ও সাংস্কৃতিকভাবে পরস্পরের ঘনিষ্ঠ। এ কারণে মিয়ানমারের নাগরিকদের প্রবেশ ঠেকানো যাচ্ছে না।
বিক্ষোভকারীদের ওপর দমন-পীড়নের নিন্দা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন গতকাল মঙ্গলবার বলেছেন, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী গণতান্ত্রিক নির্বাচনের ফল পাল্টানোর চেষ্টা করছে। এ ছাড়া শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপরও নির্যাতন চালাচ্ছে তারা।
সূত্র : বিবিসি
#CBALO/আপন ইসলাম