শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:২৭ অপরাহ্ন

ই-পেপার

কক্সবাজারে পর্যাপ্ত ভেন্টিলেটরের অভাব, বাড়তে পারে মৃত্যুর ঝুকি

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: মঙ্গলবার, ২ জুন, ২০২০, ৬:১৯ অপরাহ্ণ

মোহাম্মদ জিয়া কক্সবাজার সদর প্রতিনিধি:

ভেন্টিলেটর হল ‘লাইফ সেভিং ডিভাইস’। একে বলা হয় সাপোর্টিভ চিকিৎসা। অনেক সময় রোগ জটিলতা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছলে দেখা যায় রোগী নিজে থেকে শ্বাস নিতে পারছেন না। তার শ্বাসযন্ত্র ঠিকঠাক কাজ করছে না। রেসপিরেটরি ফেলিওর হচ্ছে। তখন কৃত্রিম উপায়ে বাইরে থেকে মেশিনের সাহায্যে শ্বাসপ্রশ্বাস চালু রাখার চেষ্টা করা হয়। এটাই ভেন্টিলেশন। আর যে যন্ত্রের সাহায্যে এ চিকিৎসা দেয়া হয়, সেটি হলো ভেন্টিলেটর। সেই সঙ্গে চলে অন্যান্য রোগের চিকিৎসা। যাতে রোগীকে বাঁচিয়ে তোলা যায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে,করোনা আক্রান্ত কিছু সংখ্যক রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন হলে তাদেরকে ভেন্টিলেটর ছাড়া বাঁচিয়ে রাখা অসম্ভব। উন্নত ব্যবস্থায় কৃত্রিম শ্বাস প্রশ্বাস দিতে না পারলে মুহূর্তেই রোগে মৃত্যুবরণ করতে পারে। তবে এমনটি জানিয়েছে বিশেষজ্ঞরা। তাই ভেন্টিলেটর খুবই জরুরী সরঞ্জামে পরিণত হয়েছে।

 

কক্সবাজারে অক্সিজেন সংকট ও পর্যাপ্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা না থাকায় কক্সবাজারে মৃত্যুর মিছিল শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন সচেতন নাগরিকরা। গতকাল করোনা উপসর্গ নিয়ে কয়েক ঘন্টার ব্যাবধানে মৃত্যু বরণ করেছে পাঁচজন। এদের মধ্যে একজন টেকনাফের অপর চারজন কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারাগেছে । এ নিয়ে কক্সবাজার জেলায় করোনায় ১৯জনের মৃত্যু হয়েছে। ৩১ জন রোহিঙ্গাসহ জেলায় মোট ৮০৫ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। গতকাল কক্সবাজার পৌর এক আওয়ামী লীগ নেতার অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু হয়েছে এমন দাবী করেছে তাঁর পরিবার।

 

অন্যরাও অবহেলা ও চিকিৎসা সংকটসহ নানান অভিযোগ তুলেছেন। এর পর থেকেই কক্সবাজারে করোনা চিকিৎসা সরঞ্জাম নিয়ে যোগাযোগ মাধ্যম সরগরম হয়ে উঠেছে। কক্সবাজার জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদ শহিদুল হক বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কনফারেন্সে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং নেতারা করোনা মোকাবেলায় সকল প্রস্তুতি আছে এবং কিছু প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছিলেন। তিনি আরো বলেন, কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পর্যাপ্ত অক্সিজেন নেই, ICU সুবিধা নেই, ভ্যান্টিলেটর নেই, সিনিয়র ডাক্তার নেই, সিনিয়র নার্স নেই। যারা আছেন, তাদেরও এন-৯০ মাস্ক নেই।

 

এসব অভিযোগের সত্যতার ব্যাপারে জেলা সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. মহিউদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন অক্সিজেন পর্যাপ্ত আছে।মূলত ভেন্টিলেটরের অভাবে রোগির মৃত্যু হচ্ছে। তবে মৃত্যুর দায় প্রশ্নে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। সকলের দাবী আমাদের কক্সবাজার ঢাকার পর সবচেয়ে বেশী ঝুকিপূর্ণ। উখিয়া-টেকনাফে রয়েছে অতিরিক্ত ১২ লাখ রোহিঙ্গা। অনতিবিলম্বে কক্সবাজারে পর্যাপ্ত পরিমান আইসোলেশনসহ চাহিদা সংখ্যক ভেন্টিলেটর মজুত করতে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর