চলনবিলাঞ্চলের এক সময়ের খরস্রোতা নদী‘বড়াল’। ধীরে, ধীরে সংকুচিত হয়ে নদীটি এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে। নদীর তল দেশে চাষ করা হচ্ছে বিভিন্ন ফসল। এ নদীটি রাজশাহী রচারঘাট, বাঘা, নাটোরের বাগাতি পাড়া, বড়াই গ্রাম, পাবনার চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর উপজেলার মধ্য দিয়ে বাঘাবাড়ী হয়ে হুড়া সাগরে মিশে যমুনা নদীতে মিলিত হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ অঞ্চলে ফসল উৎপাদন ও অকাল বন্যার কবল থেকে রক্ষার জন্য বড়াল নদীর উৎপত্তি স্থলে একটি সুইসগেট নির্মাণ করা হয়।
এছাড়াও পরবর্তীতে আটঘড়ি, দহপাড়ায় ও পাবনার চাটমোহরে ক্রস বাঁধনির্মাণ করা হয়। ফলে দীর্ঘ দুই যুগেরও বেশি সময় পদ্মার পলিযুক্ত পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বড়াল নদীতে বন্ধ থাকায় নাব্যতা হ্রাস পেয়েছে। এছাড়া নদীর দু’পারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়ী-ঘর নির্মাণ করে নদী দখল করে চলেছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। এতে করে নদীটির অস্তিত্ব এখন হুমকির মুখে পড়েছে। বর্তমানে নদীটি শুকিয়ে যাওয়ায় চলনবিলের ৮ টি উপজেলার মধ্যে নৌ চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে।
এ অঞ্চলে নদী কেন্দ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্যেও নেমে এসেছে স্থবিরতা। জানাযায়, সড়ক পথে পরিবহন খরচ বেশি হওয়ায় এখানকার ব্যবসায়ীরা স্বল্প খরচে নৌ পথে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও আরিচাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পণ্য পরিবহ করে আসছিল। এখন নৌ পথ বন্ধ থাকায় সড়ক পথে অধিক খরচে পণ্য পরিবহন করতে হয়।
#CBALO/আপন ইসলাম