তখন ১৯৪৭ সাল,পাক-ভারত বিভক্ত হওয়ার শেষ পর্ব ছিল। সে সময়ে মানুষ স্বাধীনতা চেয়েছিল একযোগে। সকলেই চেয়েছিল পাকিস্তান স্বাধীন হোক,যার যে ধর্ম-কর্ম,ধ্যান-ধারনা,জাত বর্ণ নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকুক। কিন্তু কিছু মানুষ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধিয়ে দিয়েছিল। যে কারনে মুসলিম সপ্রদায় মুক্তি চেয়েছিল। যুদ্ধ করে জিবন,ধন-সম্পদ ইজ্জত বিলিয়ে দিয়েছিল লক্ষ-লক্ষ লোক। কেউ কোন কিছুর পরোয়া করে নি। অবশেষে পাকিস্তান স্বাধীনতার সনদ পেলো,।পেলো এক নতুন রাষ্ট্র,নতুন পরিচয়। দেশের জনগণ খুশিতে আত্মহারা হয়ে গেল। এভাবে চলতে থাকল কিছু বছর,মাস,দিন। আবারও পাকিস্তানিদের মধ্যে বৈষম্য দেখা দিল। ব্যাবসা-বাণিজ্য,খাদ্য,চিকিৎসা,অন্ন,বস্ত্র দেশের উন্নয়নে ব্যবধান। শুরু হলো দু-দেশের ঝামেলা।কয়েক দফায় আলোচনা করা হলো। কোন কাজ হলোনা,নির্বাচন হলো ক্ষমতা ছেড়ে দিলো না বর্তমান পাকিস্তান। আবারও স্বাধীনতার জন্য মানুষ ছুটাছুটি করতে লাগল। স্বাধীনতার ডাক দেওয়া হলো। মানুষ যুদ্বে ঝাপিয়ে পড়ল।এ দেশ আবার ও স্বাধীনতার সনদ পেলো।মানুষ খুশিতে আত্মহারা গেলো। সেই খুশি আজ কোথায়,সেই স্বাধীনতা আজ কোথায়? তাহলে কি স্বাধীনতা যুদ্ধ মানে একটি সনদ পাওয়া,জিবন দেওয়া,সম্পদ নষ্ট করা! আমি ইতিহাস থেকে এবং ব্যাক্তিগত কিছু ধারনা থেকে বুঝতে পারছি, মানুষ কোনদিন স্বাধীনতা পায় না।শুধু বিভক্ত হয়ে যায়। ১৯৪৭ এবং ১৯৭১ একাত্তর তার যথেষ্ট প্রমান। অবিভক্ত পাক-ভারত যেভাবে চলেছে, স্বাধীনতার সনদপ্রাপ্ত ভারত,পাকিস্তান,বাংলাদেশ ও ঠিক সেভাবেই চলছে। আজও মানুষ সেই একই অধিকার নিয়ে প্রশ্ন তোলে,একই বিষয়ে যুদ্ধ করে। আমার মতে যারা স্বাধীনতার নামে যুদ্ধ করে এরা মহান পাপী। এদের এই স্বাধীনতা যুদ্বের সিগ্ধান্ত গুলো সঠিক হয়নি। একটি সরকার বা গোষ্ঠীর জন্য যদি কোন দেশে অশান্তি সৃষ্টি হয়, তাহলে সে দেশের জনগণের উচিত সে শোষক সরকার কে দেশ থেকে বিতারিত করা।আজিবন সে দেশে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেওয়া। কোন দেশ ও দেশের মানুষের স্বাধীনতার নামে দুটি দেশ গঠনের মহান পাপের চেষ্টা আর কেউ করবেন না। কারন এ পৃথিবীতে স্বাধীনতার সনদ পেয়েছে অনেক দেশ কিন্তু স্বাধীনতা পায়নি। বাংলাদেশ যদি আবার বিভক্ত হয়,তাহলে কয়েক যুগ পরে আবারও তারা স্বাধীনতার নামে বিভক্ত হতে চাইবে। অতএব স্বাধীনতার সনদ নয়,দেশ বিভক্তি নয়। শোষক শৈরচারী সরকার কে দেশ থেকে বিতারিত করুন। একসাথে স্বাধীনতা নিয়ে বেঁচে থাকুন।
CBALO/আপন ইসলাম