যশোরের অভয়নগরে দেয়াপাড়া ১নং ওয়ার্ডের কওছার শেখের ছেলে রফিকুলের সুদ কারবারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী সর্বশান্ত বেশ কয়েকটি পরিবার। ভুক্তভোগী শরিফা বেগম জানান, রফিকুলের কাছ থেকে সুদের টাকা গ্রহন করে সর্বশান্ত হয়ে, জীবন কাটাতে হচ্ছে তার। তিনি বলেন, আমি বিশেষ প্রয়োজনে রফিকুলের নিকট থেকে ৭০ হাজার টাকা নিই, টাকা নেয়ার সময় একটি ব্লাইং চেকে স্বাক্ষর নিয়ে আমাকে ৭০ হাজার টাকা দেয়, আমি ৭০ হাজার টাকার জায়গায় ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা পরিশোধ করার পরেও উক্ত ব্যাংক চেকে মন মতো (৪ লাখ ৩০) হাজার টাকা রফিকুল নিজে লিখিয়া আমার নামে আদালতে চেক ডিজনার মামলা করে মিথ্যা পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিচ্ছে। একই গ্রামের আর এক ভুক্তভুগী মারুফ শেখ জানান, আমি রফিকুলের নিকট থেকে ছেলের লেখাপড়ার জন্য ৬০ হাজার টাকা নিয়েছিলাম, তিন মাস পর আমাকে বলে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা পাবো না দিলে খুন করবো এবং বিভিন্ন সময় গালাগাল ও পরিবারের লোক দের খতি সাধণ করবো, আমি অসহায় হয়ে পড়ি। পরবর্তীতে আমি সাংবাদিকদের সহযোগিতায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান (তারু) নিকট সত্য ঘটনা খুলে বলার পর তিনি আমাকে সহযোগিতা করে,আমি ৬০ হাজার টাকার স্থলে ৮৫ হাজার টাকা পরিশোধ করে মুক্তি পাই। এছাড়াও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে জানান, রফিকুল ক্ষমতাসিন আওয়ামীলীগের নাম ভাংগীয়ে, বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়ায়, কেউ প্রতিবাদ করতে গেলে,লোক ভাড়া করে মেরে ফেলার হুমকি ও মান অপমান করে যার জন্য কেউ কিছু বলেনা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গ্রামের সাধারণ মানুষের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে সুদে কারবারি রফিকুল বিভিন্ন অত্যাচার নির্যাতন ও মামলা করে, মানুষের টাকা হাতিয়ে নিয়ে কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। এ বিষয়ে রফিকুলের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়, এ বিষয়ে ৫ নং শ্রীধরপুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড মেম্বর বিপুর কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে ফোনে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান।
CBALO/আপন ইসলাম