টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার প্রতিটি গ্রামে বাড়ি এবং বাগানের আম গাছে প্রকৃতির আপন খেয়ালে বসন্তের আগমন ঘটেছে। ফুলে ফুলে সুবাসিত হবে চারদিক। মধুমাসের আগমনী বার্তা শোনাচ্ছে প্রকৃতি, এখনই গাছে গাছে ফুটছে আমের মুকুল।চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে এই আগাম আমের মুকুলের পাগল করা ঘ্রাণ। ফুলের ঘ্রাণে মৌ মৌ চারদিক।
নাগরপুরের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে। বাড়ির উঠানে আম গাছে শোভা পাচ্ছে মুকুল। বাতাসে মুকুলের সুবাসিত পাগল করা ঘ্রাণ। গাছের আমপাতার সবুজ বিছানায় মুকুলের সোনালী রেণু যেনো ফুলশয্যা সাজিয়ে স্বাগত জানাচ্ছে ফাগুনকে। সেই সাথে বিদায় নিবে শীতকাল। তবে আবহাওয়ার ওপর আমের ফলন নির্ভর করে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর আমের ফলন ভালো হবে। ইতিমধ্যে কিছু গাছে মুকুল আসা শুরু হয়েছে। গাছের পুরো মুকুল ফুটতে আরও কয়েক সপ্তাহ লাগবে।
উপজেলার ঘিওরকোল গ্রামের সৌখিন আম চাষী মোঃ শামীম তালুকদার ও যতীস ভট্রাচার্য্য জানান, প্রায় সপ্তাহ খানেক আগে থেকে তাদের লাগানো আম গাছে মুকুল আসা শুরু হয়েছে। কিছু গাছ মুকুলে ছেয়ে গেছে। তবে বেশিরভাগ গাছে মুকুল বের হচ্ছে। মুকুল আসার পর থেকেই তারা গাছের প্রাথমিক পরিচর্যা শুরু করেছেন।মুকুল রোগ বালাইয়ের আক্রমন থেকে রক্ষা করতে স্থানীয় কৃষি বিভাগের মাঠ সহকারী ছরোয়ার হোসাইন এর পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ওষুধ স্প্রে করছেন তাহারা।
নাগরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জনাব আব্দুল মতিন বিশ্বাস জানান, সবেমাত্র গাছে আমের মুকুল আসতে শুরু করেছে। মূলত আবহাওয়াগত কারনে দেশীয় জাতের গাছে এই আগাম মুকুল দেখা যাচ্ছে।তবে এ সময় বিভিন্ন পোকামাকড় মুকুলের ক্ষতি করে। এ পোকা দমনে বালাইনাশক স্প্রে করতে হবে। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে খুব ভালো ফলন পাওয়া যাবে।একটু আগে থেকেই আমের মুকুল আসায়, ঘণ কুয়াশায় মুকুল ঝরে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। অবশ্য সে প্রভাব মনে হয় আর পড়বে না। তিনি আরও জানান, উপজেলার যে কোন কৃষক কৃষি পরামর্শ ও সহযোগিতা করতে আমার মাঠ সহায়ক সহ সকলেই আন্তরিক।
CBALO/আপন ইসলাম