রাতারাতি অনেক টাকার মালিক হওয়ার একটাই পথ, আর সেই পথ হচ্ছে ঠিকাদার বাণিজ্য। দেশের ক্ষতি করে লাভবান হচ্ছে সরকারি বেসরকারি দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্মচারী গন। ক্ষতি হচ্ছে রাষ্ট্রের ও সাধারণ জনগণের ক্ষমতাসীন লেবাস লাগিয়ে নানা কটুকৌশল বহুমুখী প্রতারণাকে পুঁজি করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে টেন্ডার বাণিজ্যর মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছে শত শত কোটি টাকা ।
ঠিকাদাররা সরকারের বিভিন্ন সেক্টরে যেমন তেমন কাজ করলে ও নেই কোন জবাব দিহিতা। এরই ধারাবাহিকতায় লুটপাটের অভিযোগ অনিয়ম দুর্নীতি দেখার কেউ নেই ,ফলে টেন্ডারবাজিতে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের তদবিরে অনৈতিক অনিয়ম কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে । খাদ্য বিভাগ এ আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক ঢাকা এর দপ্তরে ঢাকা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এর কার্যালয় গেছে কয়েক মাস ধরে চলছে সকল কাজ কর্মের অনিয়ম এমনটি অভিযোগ রয়েছে। ঢাকা জেলা অধীনে সড়ক পথে মালামাল পরিবহনের জন্য গত সেপ্টেম্বরে ০১/০৯/২০২০ ইং তারিখে টেন্ডার আহ্বান করে এবং ২১ সেপ্টেম্বর দাখিল করে ৩৩ জন ঠিকাদার ।একই রেট ও সরকারি কর্মকর্তাদের সুবিধা না হওয়ায় খাদ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা টেন্ডার টি বাতিল করে।
পরবর্তীতে গত ০২/১১/২০২০ ইং তারিখে পুনঃ দরপত্র আহ্বান করে সেই দরপত্রে ১৬/১১/২০২০ তারিখে ৮৮জন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেন । তাদের মধ্যে ২৬ জনকে বাদ দিয়ে ৬২ জনের একটা লিষ্ট নোটিশ বোর্ডে দেন। নিয়ম অনুযায়ী আর্থিক প্রস্তাব দেখে সবাই কে জানিয়ে দেওয়ার দরকার ছিলো কে সবচেয়ে কম দরদাতা। সেটা না করে সরাসরি ২৬ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের নিকট অর্থের বিনিময়ে সরকারের আর্থিক ক্ষতি করে চুক্তির জন্য গোপনে চিঠি প্রদান করে। এই বিষয়ে ফুড ইনস্পেক্টর বাবুল এর সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলতে চাইলে তিনি বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে কথা এড়িয়ে যান । পরবর্তীতে খাদ্য নিয়ন্ত্রক প্রধান সহকারী জনাব মেজবাহ মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন এই বিষয়ে আমার স্যার জানেন আমি তো টেন্ডার দেই না । মনে হচ্ছে যেন শস্যর মধ্যে ভুত , এদিকে ভুক্তভোগী ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সাথে সাক্ষাৎ কালে সংবাদ কর্মীদের বলেন ,৩ থেকে ৪ জনের সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ২৬ জনের কাজ থেকে অর্থের বিনিময়ে ইন্সপেক্টর বাবুল আকরাম ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জনাব আশরাফুল আলম এই কাজ করেছেন ।
ভুক্তভোগী আরো জানান খাদ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার সাথে কাজ করতে হলে ও দুইজনের কথা মতো করতে হবে ।কেউ কিছু বললে তাদের বিল আটকিয়ে রাখে মাসের পর মাস ।ঢাকার প্রাণ কেন্দ্র ২৯৯ জুরাইন এর মতো জনবহুল এলাকায় এই ভাবে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও সরকারি কর্মকর্তাদের যোগসাজশে চলছে দুর্নীতির মহা উৎসব। ঠিকাদারদের দাবি এই টেন্ডার বাতিল করে পুনঃ দরপত্র আহ্বান ,এবং সেই সাথে যারা এই দুর্নীতির সাথে জড়িত তদন্তের মাধ্যমে তাদের সঠিক বিচার করা এটাই কাম্য । এই সকল বিষয় এ কথা বলার জন্য আমি নিজে সশরীরে ১৮/০২/২০২১ ইং তারিখ আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রণ ঢাকা এর অধিনে ঢাকা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এর কার্যালয় যাই। আর টেন্ডার সংক্রান্ত সকল তথ্য জানতে চাই এই সময় কাজ না পাওয়া এক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি আসে তাদের শেষ বিল নেওয়ার জন্য কিন্তু বিল তুলতে যে ঘুষ প্রদান করতে হয় সেই টাকা সে না নিয়ে আসাতে প্রকাশ্য সে আমার সামনে ঘুষ চায় আর আমি এগুলোর ভিডিও ধারন করতে গেলে তাদের সাথে একপর্যায়ে আমার সাথে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে তারা আমার মুঠোফোন আটকিয়ে রাখে ও জোর পূর্বক আমার মোবাইল ফোন এর সকল তথ্য ডিলেট করে দেয় ও আরও বলে র্যাব ১০ কে ডেকে ধরিয়ে দিবে। তাহলে বুঝতে পারছি যে এই সকল অপকর্মের সাথে না জানি আর কত সংস্থা জড়িত। ওখান থেকে প্রায় ২ ঘন্টা পর কিছু স্থানীয় ঠিকাদারদের মাধ্যমে আমি মুক্ত হই। এই বিষয় এ আমি আমার পত্রিকার সম্পাদক মহাদোয় কাছে আকুল আবেদন এর একটা সুস্ঠ বিচার ও তদন্তের ব্যবস্তা গ্রহন করবেন।
CBALO/আপন ইসলাম