বলিউডের দুটি উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম শাহরুখ এবং সালমান। তাদের জনপ্রিয়তার কাছে পরিচালক, প্রযোজকদেরও কথা চলে না। তারা যেভাবে চান সেভাবেই শুটিং এগিয়ে চলে। কিন্তু একবার এক নায়িকার ধমকে তারা দু’জনেই জবুথবু হয়ে গিয়েছিলেন। পরদিন একদম চুপচাপ শুটিং করেছিলেন।
১৯৯৫ সালের চূড়ান্ত সফল ছবি ‘করণ-অর্জুন’। এই ছবিতে শাহরুখ এবং সালমানের সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন মমতা কুলকার্নি। প্রথম থেকেই ছবির শুটিং নিয়ে যথেষ্ট গা ঢিলেভাব নিয়ে চলছিলেন দুই খান। অনেক ক্ষেত্রেই তাদের জন্য একই দৃশ্য বারবার শুট করতে হচ্ছিল। কিন্তু শাহরুখ-সালমানের জনপ্রিয়তার দিকে তাকিয়ে তাদের কিছুই বলতে পারছিলেন না ছবির পরিচালক। মনে মনে বিরক্ত হলেও তাদের সহকর্মীরাও মুখে তা প্রকাশ করছিলেন না।
বাকিদের মতো দুই নায়কের উপর বিরক্ত ছিলেন ছবির নায়িকা মমতা কুলকার্নি। এই ছবিতে একটি নাচের শুটিংয়ের সময় শেষে বিরক্তি আর চেপে রাখতে না পেরে শাহরুখ-সালমানকে খুব বকাবকি করেন মমতা। ওই দৃশ্যে দুই খানের সঙ্গে মমতাকেও দেখা যাওয়ার কথা ছিল। এজন্য মমতা শুটিংয়ের বাইরেও খুব ভাল করে প্রশিক্ষণ নেন যাতে একটি টেকেই পুরো নাচের শুটিং শেষ হয়। কিন্তু হয়েছিলো ঠিক উল্টো। বারবার রি-টেক দিতে হচ্ছিল মমতাকে।
মমতা আগে থেকে নাচ অনুশীলন করলেও শাহরুখ এবং সালমান একেবারেই তা করেননি। উপরন্তু তারা শুটিংয়ের সময় কোরিওগ্রাফারের কাছে একটু করে শিখে শুট করছিলেন। ফলে বার বার তাদের রি-টেক দিতে হচ্ছিল। একটা সময়ের পর বেজায় রেগে যান মমতা। শুটিং সেটেই শাহরুখ এবং সালমানের উপর চিৎকার করে ওঠেন তিনি। সেটে হাজির সকলেই বিস্মিত হয়ে যান। বিস্মিত হয়ে যান শাহরুখ এবং সালমানও। মমতা যে এমন একটা কাজ করে বসতে পারেন তা ভাবতেই পারেননি দুই নায়ক।
পরদিন ফের শুরু হয় ওই নাচের শুটিং। সেদিন যা ঘটল তা দেখে এবার মমতার বিস্মিত হওয়ার পালা ছিল। সেদিন একটি মাত্র টেকেই নাচের শুটিং নির্ভূলভাবে শেষ করেন শাহরুখ এবং সালমান। কিন্তু মমতার নাচতে সমস্যা হচ্ছিল। তাকেই এবার রি-টেক দিতে হচ্ছিল। সেদিন সেটে কেঁদে ফেলেছিলেন মমতা। ছবি মুক্তির পর এক সাক্ষাৎকারে নিজেই এই ঘটনার কথা জানিয়েছিলেন তিনি।
‘দিলওয়ালে’ ছবি মুক্তির সময় সালমানের বিগ বস-এ এসে ওই ঘটনার কথা বলেছিলেন শাহরুখ। ওই প্রথম নাকি কোনো নায়িকা তাদের ধমক দিয়েছিলেন এবং ধমক খেয়ে পরদিন রাত জেগে ভোর ৫টা পর্যন্ত দু’জন নাচের অনুশীলন করেছিলেন।