আজ রবিবার পহেলা ফাল্গুন, ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন। কবি বলেছেন, ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক আজ বসন্ত। তবে এবারও ফুটেছে ফুল, প্রকৃতি সেজেছে নতুন রূপে। ফুলেল বসন্ত, মধুময় বসন্ত, যৌবনের উদ্দামতায় মন-প্রাণ কেড়ে নেওয়ার আজ প্রথম দিন। ফাগুনের মাতাল হাওয়া দোলা দিয়েছে বাংলার নি:স্বর্গ প্রকৃতিতে। প্রকৃতি আজ দখিনা দুয়ার খুলে দিয়েছে। বইছে ফাগুনের হাওয়া। বসন্তের আগমনে কোকিল গাইছে গান। ভ্রমর করছে খেলা। গাছে গাছে পলাশ আর শিমুলের মেলা। ফাল্গুনের হাত ধরেই ঋতুরাজ বসন্তের আগমন। শীতের খোলসে ঢুকে থাকা কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া, ডালিয়া এখন অলৌকিক স্পর্শে জেগে উঠেছে। লাল, হলুদ আর বাসন্তী রঙে প্রকৃতির সাথে নিজেদের সাজিয়ে আজ বসন্তের উচ্ছলতা ও উন্মাদনায় ভাসছে বাঙালি।
সিরাজগঞ্জ জেলার সকল ফুলের দোকানগুলোতে ও বসন্তের প্রথম দিনে কেনাবেচা হয় সাধারণ সময়ের চেয়ে কয়েকগুণ। বসন্ত অনেক ফুলের বাহারে সজ্জিত হলেও গাঁদা ফুলের রঙকেই এ দিনে তাদের পোশাকে ধারণ করে তরুণ-তরুণীরা। সঙ্গে খোঁপায় ফুলের মালার শোভা বাড়ায় বহুগুণ। বসন্তের আনন্দযজ্ঞ থেকে বাদ যায় না গ্রাম্যজীবনও। আমের মুকুলের সৌরভে আর পিঠাপুলির মৌ মৌ গন্ধে গ্রামে বসন্তের আমেজ একটু যেন বেশিই। আর এভাবেই ধরায় নেমে আসে ঋতুরাজ বসন্ত।দিঘির পারে, কলেজ মহল্লায়,প্রেমপুল, ফেরিঘাট, লেকসহ নানা জায়গায় জড়ো হয়ে তরুণ-তরুণীসহ নানান বয়সী মানুষ প্রকৃতির এ অপরূপ সৌন্দর্য্যকে বরণ করে নিজের মতো করে। এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ রোডের ফুলের দোকান বন্ধন ফুল ঘরের মালিক “মাসুদ রানা” বলেন, প্রতিদিনের তুলনায় আজ অনেক বেশি ফুল বিক্রি করেছি।
CBALO/আপন ইসলাম